খুলনার পাইকগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ওসির হস্তক্ষেপে বাল্য বিবাহ থেকে রক্ষাপেল সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী ফতেমা খাতুন। রবিবার সকাল ১১টায় কপিলমুনি মেহেরুন্নেছা বালিকা উচ্চবিদ্যালয় এক সালিশি মাধ্যমে কিশোরীকে তার মা ও ভাই এর হাতে তুলে দেওয়া হয়।
জানাযায়, উপজেলার কপিলমুনি মেহেরুন্নেছা বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণির ছাত্রী ও নাছিরপুর গ্রামের মৃতঃ হারুন শেখের মেয়ে ফতেমা খাতুন। মেয়েটির অভিযোগ পরিবারের লোকজন তাকে মারপিট করে জোর করে বিবাহ দেওয়ার পরিকল্পনা করছিলো। সে বিবাহ করতে অস্বীকার জানালে তাকে তার এক ইউপি সদস্য মামা ও ভাই মারপিট করে। এক পর্যায় মেয়েটি শনিবার সকালে পালিয়ে থানায় উপস্থিত হয়ে ঘটনা জানান। এমন অভিযোগে রবিবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জুলিয়া সুকায়না ও থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমদাদুল হক শেখ কিশোরীকে নিয়ে বিদ্যালয় আসেন। সালিশি ইউপি সদস্য মামা ও ভাই মারপিটের কথা স্বীকার করলেও কিশোরীর বিরুদ্ধে উল্টো অভিযোগ করেন। কিশোরী তার মা ও ভাইয়ের সাথে ঝগড়াসহ একাধিকবার বাড়ী থেকে চলে গিয়েছে। এমন না করার জন্য বললেও কিশোরী তা শুনেনি।
তবে ফতেমার দাবী, তাকে বিবাহ দেওয়ার জন্য তার মা ও ভাই বিভিন্ন সময় মারপিট করে আসছে। এক পর্যায় কিশোরীকে বাল্য বিবাহসহ নির্যাতন করবেনা মর্মে অঙ্গিকার করলে মেয়েটিকে তার মা ও ভাই এর হাতে তুলেদেন পাইকগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জুলিয়া সুকায়না ও থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমদাদুল হক শেখ। সালিশি উপস্থিত ছিলেন ইউপি চেয়ারম্যান কওছার আলী জোয়ার্দার, সাবেক অধ্যক্ষ মোঃ সহর আলী গাজী, পুলিশ ফাঁড়ী ইনচার্জ ইনপেক্টর সঞ্জয় দাশ, স্কুলের সভাপতি শেখ আছাদুর রহমান পিয়ারুল, ইউপি মেম্বর আঃ আজিজ বিশ্বাস, মোস্তাফিজুর রহমান মিন্টু ও গণমাধ্যম কর্মীরা।