গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে চলতি মৌসুমে বোরো ধান উৎপাদন হয়েছে রেকর্ড পরিমানে। কিন্তু উৎপাদনের চেয়ে সরকারী ভাবে ধান ক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা অনেক কম হওয়াতে বিপাকে পড়েছে কৃষক। মধ্যসত্ত্ব ভোগিদের গুদামে ধান চলে যাচ্ছে নানা প্রক্রিয়ায়। সরকারী ভাবে ধান ক্রয়ের জন্য উপজেলা অভ্যন্তরীন ধান ক্রয়সংক্রান্ত কমিটি খাদ্য গুদামে সরাসরি কৃষকের নিকট থেকে ধান ক্রয়ের লক্ষ্যে লটারীর নামে চলছে ভেল্কিবাজী।
উপজেলার অধিকাংশ ইউনিয়নের অভিযোগ পাওয়া গেছে,লটারীতে অংশ নেওয়ার জন্য কৃষকদের যে কৃষিকার্ড তৈরী করা হয়েছে,সেটিও ক্রটিপূর্ণ কৃষকের নিদিষ্ট পরিমাণ জমি নেই এমন কৃষকেরও কৃষিকার্ড করা হয়েছে। এমনও পাওয়া গেছে অধিকাংশ ইউপি’তে লটারীর পর জনপ্রতিনিধির স্বজনদের নামে টোকেন (স্লিপ) দেওয়া হয়েছে। ফলে ধানের টোকেন (স্লিপ) এখন ফড়িয়াদের হাতে।
গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক ও কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ৩টি খাদ্য গুদামের মাধ্যমে মোট ৯শত ২০মেঃ টন বোরো ধান সরাসরি কৃষক নিকট থেকে ক্রয় করবে।প্রতি কেজি ধান ক্রয় করবেন ২৬ টাকায়।
পৌরসভা সহ ১৭টি ইউনিয়নে প্রায় দেড় লক্ষাধিক কৃষকের মধ্যে সরকারী খাদ্য গুদামে ধান ক্রয়ে স্বজনপ্রীতি ও দুর্নীতি এড়াতে উপজেলা প্রশাসন সহ সংশ্লিষ্ট খাদ্য নিয়ন্ত্রক অধিদপ্তর প্রকৃত কৃষক নির্ধারনের জন্য প্রতিটি ইউনিয়নে গিয়ে লটারীর মাধ্যমে তালিকা করার কথা থাকলেও অনেক ইউনিয়নে লটারী করা হয়নি। যে ইউনিয়নে লটারী হয় নাই সেই ইউপি’র জনপ্রতিনিধি ও প্রভাবশালীরা কৃষক নির্বাচনের ক্ষেত্রে স্বজনপ্রীতি ও অনিয়মের মধ্য দিয়ে স্বজনদের নামে ধানের টোকেন দেওয়া হয়েছে। ধানের টোকেনধারীরা ফড়িয়াদের নিকট টন প্রতি ২ হাজার টাকায় বিক্রির করার অভিযোগ বিদ্যমান।
এদিকে কৃষক নির্বাচনের লক্ষ্যে লটারীর নামে ভেল্কিবাজীর ঘটনা ঘটিয়েছে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক,জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় প্রভাবশালীদের দায়ী করেছেন সাধারণ কৃষক ও সচেতন রাজনৈতিক মহল।
এ ব্যাপারে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আবদুল আহাদ আলীর সঙ্গে কথা বললে তিনি সদুত্তর দিতে গড়িমসি করেন।