রাজস্ব খাত হতে বেতন-ভাতা ও পেনশনের দাবিতে বাগেরহাটের পৌর কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কর্মবিরতি পালন করছে। সোমবার (০১ জুলাই) সকাল থেকে সারাদেশের ৩২৮ টি পৌরসবা একযোগে এ কর্মবিরতি পালন শুরু করে। কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে সকাল ৯টা বাগেরহাট পৌরসভার সামনে অবস্থান কর্মসূচির মধ্যদিয়ে বাংলাদশ পৌরসভা কর্মকর্তা-কর্মচারী অ্যাসোসিয়েশন বাগেরহাট জেলা শাখা কর্মবিরতি পালন শুরু করে। পরে দুপুরে পৌরসভার সামনে থেকে একটি মিছিল নিয়ে বাগেরহাট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে সমাবেশ করে পৌর কর্মচারীরা। এ সময় বক্তব্য দেন, বাংলাদশ পৌরসভা কর্মকর্তা-কর্মচারী অ্যাসোসিয়েশন কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম মিঠু, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মোঃ জামসেদ আলী, খুলনা বিভাগীয় সভাপতি রঞ্জন কান্তি গুহ, বাগেরহাট জেলা সভাপতি অজিত কুমার হালদার, ডালিয়া বেগম, একেএম সেলিম, সেলিম হাওলাদার, সানজিদা বেগম মমতাজ বেগম প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, দেশের মোট জনসংখ্যার ৩৯ শতাংশ মানুষকে পৌরসভা কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সেবা করে। কিন্তু সেই পৌর কর্মচারীরা আজ অবহেলিত। খেয়ে না খেয়ে দিনাতিপাত করতে হয় পৌর কর্মচারীদের। স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের অধীনে এলজিইডি, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল, ওয়াসা, সমবায় অধিদপ্তরসহ যেসব প্রতিষ্ঠান আছে তারা সবাই শতভাগ সরকারি সুযোগ সুবিধা ও বেতন ভাতা পেয়ে থাকেন। কিন্তু আমরাও একই মন্ত্রণালয়ের আওতায় হওয়া স্বত্ত্বেও কেন বঞ্চিত হচ্ছি। এ অবস্থায় পরিবার-পরিজন নিয়ে পৌর কর্মচারী-কর্মকর্তারা মানবেতর জীবন-যাপন করছে। আর এই কর্মবিরতির অংশ হিসেবে আগামীকাল ২ জুলাই জেলা প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচি ও কর্মবিরতি পালন করবে কর্মচারীরা। এরপরেও যদি সরকার কোন প্রকার উদ্যোগ না নেয় তাহলে ১৪ জুলাই জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচির ঘোষনা দেন বক্তারা।
একই দাবিতে জেলার মোড়েলগঞ্জ ও মোংলা পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কর্মবিরতি পালন শুরু করছে।