কয়রায় জায়গীর মহল অগ্রনী ব্যাংকের ব্যবস্থাপকের বিরুদ্ধে গ্রাহক হয়রানীর অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ থেকে পরিত্রান পেতে গ্রাহকরা ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছে। জানা গেছে, বাংলাদেশের সর্ব দক্ষিণের উপজেলা কয়রা সদর হতে ১৫ কিঃমিঃ দুরে জায়গীরমহলে অবস্থিত একমাত্র অগ্রনী ব্যাংক। এ শাখাটি ১৯৮৩ সাল হতে এলাকার সাধারন মানুষ সহ নানা শ্রেনী পেশার মানুষের সেবা দিয়ে আসছে। বর্তমান শাখার সেবার মান অত্যান্ত নাজুক। গত ২৭ জুলাই সকাল ১০.২০ মিনিটে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় ব্যাংকের প্রধান গেট খুলছে কিন্তু ব্যবস্থাপককে এ সময়ের মধ্যে দেখা মেলেনি। তিনি না আসায় ব্যাংক কর্তৃপক্ষ ব্যাংকের লেনদেন শুরু করতে পারছেনা। ব্যবস্থাপক সাড়ে ১০ টায় এসে ভল্টের চাবি দিলে লেনদেন শুরু করা হয়। দূর দুরান্ত থেকে আসা গ্রাহকরা ততক্ষন সেখানে দাঁড়িয়ে থাকে। অনেক গ্রাহকরা অভিযোগ করে বলেন, হিসাব খোলা আর চেক বই পাওয়া বর্তমানে এখানে সোনার হরিণ। ভোলানাথপুর গ্রামের রহিমা বেগম অভিযোগ করে বলেন, তার ছেলে মালেশিয়া থেকে টাকা পাঠাবেন বলে হিসাব খোলার জন্য ৩ দিন ফেরত গেছেন। আজও পর্যন্ত তিনি হিসাব খুলতে পারেননি। ১৫ কিঃমিঃ পথ নদী পার হয়ে আবারও মঙ্গলবার আসা লাগবে বলে তিনি জানান। ব্যাংকের নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক কর্মকর্তা বলেন, ম্যানেজারের বাড়ী ৪০ কিঃ মিঃ দুরে হওয়ায় তাকে আসতে আধা ঘন্টা দেরী হয়। ব্যাংকে আসা গফুর নামের এক ব্যক্তি বলেন, ব্যাংকের চেক বই পেতে গেলে কাশেমের কাছে বার বার ধরনা দিতে হয়। তাকে খুশি করতে পারলে চেক বই পাওয়া যায়।। তা না হলে চেক বই পাওয়া যায়না। আমাদী এলাকার মাঠ পর্যায়ের একজন এনজিও কর্মী অভিযোগ করে বলেন, মাঠ থেকে টাকা কালেকশন করে আসলে ৪ টার পরে আর ব্যাংকে ঢুকতে দেওয়া হয়না। ম্যানেজারে নিকট অভিযোগ করলে তিনি কোন বিষয় আমলে নেয়না। এ সকল অভিযোগের বিষয়ে ব্যাংকের ব্যবস্থাপক কৃষ্ণপদ রায়ের সাথে কথা হলে তিনি তার বিরুদ্ধে যে সকল অভিযোগ করা হয়েছে তা সত্য নয় বলে দাবি করেন।