বরগুনার রিফাত শরীফ হত্যা কান্ডের সাথে জড়িত ফেসবুক মেসেঞ্জার গ্রুপ “০০৭” এখন কুষ্টিয়ার পুলিশ লাইনের দেওয়ালে দেওয়ালে।
কুষ্টিয়া শহরের বিভিন্ন দেয়ালে দেয়ালে ইংরেজীতে ‘০০৭’ লেখা দেখা যাচ্ছে। কোন কোন দেয়ালে আবার মানুষের হাসি চিহ্নিত দুটি শুন্য শেষে ইংরেজীতে ৭ লেখা। শহরের কমলাপুর এলাকাসহ বিশেষ করে পুলিশ লাইনের আশে পাশের দেয়ালগুলোতে এই ‘০০৭’ লেখা শোভা পাচ্ছে।
স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, গত দুদিন ধরে হঠাৎ করেই দেয়ালে এই ‘০০৭’ লেখা দেখা যাচ্ছে। তবে কে বা কারা কি উদ্দেশ্যে দেয়ালগুলোতে এই ০০৭ লিখে দিয়েছে এ ব্যাপারে কেউ কোন ধারণা দিতে পারছেন না। তবে অনেকেই ধারণা করছেন বরগুনার এই আলোচিত হত্যাকান্ডের ঘটনার পর ‘০০৭’ নামের ওই ফেসবুক মেসেঞ্জার গ্রুপের নাম ছড়িয়ে পড়ায় স্কুল-কলেজ পড়-য়া টিনএজার কোন ছেলে বা গ্রুপ দেয়ালগুলোতে এটা লিখে রেখেছে।
এ ব্যাপারে কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার এস এম তানভির আরাফাত জানান, কে বা কারা এটা লিখেছে এ ব্যাপারে আমাদের কাছে কোন তথ্য নেই। বিষয়টি তাদের নজরে আসেনি বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
উল্লেখ্য বরগুনায় প্রকাশ্য দিবালোকে স্ত্রীর সামনে রিফাত শরীফ নামের এক যুবককে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যার ঘটনার পরিকল্পনা করা হয় হত্যাকান্ডের আগের দিন ‘০০৭’ নামের একটি ফেসবুক মেসেঞ্জার গ্রুপের মাধ্যমে। ওই গ্রুপেই কে কখন কী অস্ত্র নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হবে তার নির্দেশনাও দেওয়া হয়। সেই নির্দেশনা অনুযায়ীই পরদিন সকালে রিফাতকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। ওই মেসেঞ্জার কথপোকথনের স্ক্রিনশটে দেখা যায় ঘাতক রিফাত ফরায়েজী আগের দিন রাত ৮ টার দিকে মেসেঞ্জার ‘০০৭’ গ্রুপের সদস্যদের পরের দিন সকাল ৯ টায় সরকারি কলেজের সামনে থাকার নির্দেশ দেয়।
বিখ্যাত গোয়েন্দা চরিত্র জেমস বন্ডের নামের সঙ্গে মিলিয়ে এই গ্রুপের নাম রাখা হয় ০০৭। এই ম্যাসেঞ্জার গ্রুপটির নেতৃত্বে ছিলেন রিফাত শরীফ হত্যাকান্ডের অন্যতম প্রধান আসামি নয়ন বন্ড। বন্ড অংশটি নয়ন নিজেই নিজের নামের সাথে জুড়ে দেয়। বরগুনার এই হত্যাকান্ডের পর পত্র-পত্রিকাসহ বিভিন্ন মিডিয়ায় এই ‘০০৭’ নামের ফেসবুক মেসেঞ্জার গ্রুপের নাম সামনে আসে। এরপর থেকেই দেশ ব্যাপী আলোচনায় চলে আসে ‘০০৭’ নামের এই ফেসবুক মেসেঞ্জার গ্রুপের নাম।