ফরিদপুরের নবাগত জেলা প্রশাসক অতুল সরকার প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের উপর হুশিয়ারী উচ্চারণ করে বলেছেন “সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে সাধারনদের হয়রানী বা বিড়ম্বনা করা হলে কোনো ভাবেই তা সহ্য করা হবে না। তিনি বলেন, ২০০৯ সালের বাংলাদেশ আর আজকের দেশ একরকম নয়। প্রতিটি উন্নয়নই আজ দৃশ্যশান। দেশের চলমান উন্নয়নের পাশাপাশি সেবার মানও উন্নত করতে হবে। তাহলেই সরকারের মিশন ও ভিশন বাস্তবায়ন হবে। মানুষ কোনো কাজ নিয়ে অফিসে আসলে তাকে দ্রুত সেবা প্রদান করতে হবে। আর সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে কোনো সমস্যা থাকলে অথবা আইনগত জটিলতা থাকলে তাকে বুঝিয়ে দিতে হবে। তিনি বলেন, সেবা গ্রহনকারী কোনো লোককে বীনা কারণে বিড়ম্বনার শিকার হতে দেওয়া যাবে না। দেশে মোট ১৪৩টি ভাতা চালু আছে। এ ছাড়া স্কুলগুলোতে তিনি ‘মিড ডে মিল’ চালু করার উপর গুরুত্ব দেন। তিনি আরও বলেন, প্রশাসনের কোনো কর্মকর্তা বা কর্মচারী দুর্নীতিগ্রস্থ কি-না তা পরীক্ষা করার জন্য তিনি ছব্দ ব্যাশে গ্রামগঞ্জের সাধারনদের দ্বারে দ্বারে ঘুরে পরিদর্শন করবেন। এতে কোন কর্মকর্তা-কর্মচারী কতটুকু সৎ বা অসৎ তা তিনি হাতে পেয়ে যাবেন বলেও তিনি উল্লেখ করেন”। এ ছাড়া তিনি এলাকায় মাদক, সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদ নির্মূলের ক্ষেত্রে সকলের সহায়তা কামনা করেন।
বুধবার সকাল ১১ টায় চরভদ্রাসন উপজেলা অডিটরিয়ামে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় জেলা প্রশাসক অতুল সরকার প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এসব কথা বলেন। প্রশাসনিক কর্মকর্তা-কর্মচারী, স্থানীয় জনপ্রতিধি, সাংবাদিক, মুক্তিযোদ্ধা, গণ্যমান্য ও সুধী সমাজ নিয়ে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভার সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেসমিন সুলতানা। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা) মোবাশ্বের হাসান, ফরিদপুর পাউবো’র নির্বাহী প্রকৌশলী সুলতান মাহমুদ, উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ মোশারফ হোসেন মুসা ও চরভদ্রাসন সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ বেলায়েত হোসেন।
শিক্ষিকা শিরিন সুলতানার সার্বিক পরিচালনায় এ মতবিনিময় সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) ফারজানা নাসরীন। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ মোতালেব হোসেন মোল্যা, কৃষি কর্মকর্তা মুস্তাফিজুর রহমান, ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আজাদ খান, মোঃ ইয়াকুব আলী, মুক্তিযোদ্ধা শফি উদ্দিন খালাসী, সাংবাদিক মোঃ মেজবাহ উদ্দিন ও আবদুস সবুর কাজল প্রমূখ। এর আগে নবাগত জেলা প্রশাসক উপজেলা পরিষদ চত্তরে একটি বৃক্ষ রোপন করেন। সভাশেষে উপজেলার ভাঙন কবলিত পদ্মা নদী তীরে প্রতিরক্ষা বাঁধ নির্মান প্রকল্প পরিদর্শন করা সহ লোহারটেক সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন ও আবদুল শিকদার ডাঙ্গী গ্রামে ‘একটি বাড়ী, একটি খামার’ প্রকল্প পরিদর্শন করেন।