শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার নন্নী ইউনিয়নের কালাকুড়া নেছারিয়া দাখিল মাদরাসা নিয়ে নানা অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অভিযোগপত্র ও সরজমিন সূত্রে জানা গেছে, ২ জুলাই মঙ্গলবার সকাল সকাল ১০.০৫মিঃ নালিতাবাড়ীর কালাকুড়া নেছারিয়া দাখিল মাদরাসায় সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় ছাত্রছাত্রী উপস্থিত হয়েছে ৩জন ও একজন অফিসের পিয়ন। কথা বলে জানা যায়, এদিন ২জুলাই মঙ্গলবার ৬ষ্ঠ শ্রেনীর সামজিক বিজ্ঞান ও ৭ম শ্রেনীর ইংরেজি বিষয়ে পরিক্ষা। সকাল ১০টা পরিক্ষার সময় পার হয়ে যাওয়ার পরও পরিক্ষার খাতা ভাজ করছেন পিয়ন আর কিছু শিক্ষার্থী। ১০.৩০ মিঃ আসেন গনিত শিক্ষক আর কিছু শিক্ষার্থী। জানতে চাওয়া হয় কখন আসবেন এই মাদরাসার শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীরা এবং কখন শুরু হবে পরিক্ষা। কথার জবাবের সময় আসে সুপার নুরুল হক বলে শিক্ষার্থীরা আসলেই শুরু হবে পরিক্ষা। ১০.৩০ পর্যন্ত শিক্ষার্থী উপস্থিত সর্বমোট ১৫ জন। অভিযোগ পত্রের সূত্রে, মাদরাসায় এবতেদায়ী হতে ১০ম শ্রেনী পর্যন্ত মোট শিক্ষার্থী কাগজে কলমে দেখানো হয়েছে ২৫০ জন। মূলত শিক্ষার্থী রয়েছে ৭০/৮০জন। উপস্থিতির সংখ্যা প্রতিদিন গড়ে ৩০/৪০ জন। সময়মত শিক্ষকের উপস্থিতি খুবই কম এবং সুপার বয়স্ক মানুষ হওয়াতে তিনি ভাল তদারকি ও পরিচালনায় অনেক সমস্যা রয়েছে বলে জানান এলাকাবাসী। শিক্ষক ও কর্মচারীরা গৃহস্থালী ও ব্যবসার জড়িত থাকার কারণে শিক্ষার্থীদের মান সম্মত শিক্ষা দিতে ব্যর্থ হচ্ছে এবং মাদরাসা টিকিয়ে রাখার স্বার্থে বাহির থেকে শিক্ষার্থী এনে পরিক্ষা দেখানো হয় বলে জানা গেছে। তাই এসব বিষয়ে অভিভাবক এলাকাবাসী মাদরাসাটিতে মানসম্মত শিক্ষা প্রদানের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট জোড় দাবী জানিয়েছেন।
কালাকুড়া নেছারিয়া দাখিল মাদরাসার সুপার মাওঃ নূরল হক বলেন, কাগজে কলমে ২৫০জন আছে। উপস্থিতি হয় ৭০/৮০ জন। আশাপাশে অনেক প্রতিষ্ঠান বিধায় শিক্ষার্থী পাওয়া যায় না। তবে শিক্ষকদের দেরী করে আসার জন্য কোন নোটিশ এখনও করিনি তবে করবো।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আরিফুর রহমান বলেন, ইতি পূর্বে প্রতিষ্ঠানে পরিদর্শনে গিয়েছিলাম। এবার আবার পরিদর্শনে যাব। পরিদর্শনে যা আসে সেটিরই সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হবে।