সিরাজদিখানে প্রাক-নির্বাচনী পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার ঘটনায় গতকাল বৃহস্পতিবার ৩ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। এর আগে বুধবার খাসমহল বালুচর উচ্চ বিদ্যালয়ে ১০ম শ্রেণির পদার্থ বিজ্ঞান পরীক্ষায় ২ ছাত্র লুজ কাগজ খাতায় ষ্ট্যাপলার করার সময় ধরা পরে। এরপর জানাজানি হয় ১২ জন পরীক্ষার্থী বাড়ি থেকে লিখে পরীক্ষার খাতায় লুজ সিট ব্যবহার করেছে। প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ বিদ্যালয়ের সিনিয়র সহকারি শিক্ষক মো. বিল্লাল হোসেনের বিরুদ্ধে।
অভিভাবক অনেকে জানান বিল্লাল হোসেন স্কুলে অনেক অনিয়ম ও কোচিং বাণিজ্যে জড়িত। এখন আবার প্রশ্নপত্র পদার্থ বিজ্ঞান পরীক্ষার আগের দিন ফাঁস করেছে। ১২ জন ছাত্র-ছাত্রী বাড়িতে বসে সিটে লিখে এনে পরীক্ষার খাতায় সংযোগের সময় ধরা পরে। প্রথমে দুইজন পরে জানাজানি হয় ১২ জন ছাত্র-ছাত্রী।
বিদ্যালয়ের সভাপতি মো. মোস্তফা কামাল জানান, বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে জানিয়েছি। ৩ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে। ৭ কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট পেশ করার জন্য তাদের বলা হয়েছে। আমি বিল্লাল হোসেনের বিরুদ্ধে আরো মৌখিক অভিযোগ পেয়েছি, লিখিত পাইনি।
বিদ্যালয়ের সিনিয়র সহকারি শিক্ষক মো. বিল্লাল হোসেন জানান, আমার মোবাইল ফোনে আগের প্রশ্ন ছিল। সেখান থেকে কোন ছাত্র কপি নিয়েছে। পরীক্ষায় কিছু অংশ মিলেছে। আমি কাউকে এ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র দেই নাই। আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কাজী আবদুল ওয়াহিদ মো. সালেহ জানান, ঘটনাটি জানার পর তদন্ত কমিটি গঠন করার নির্দেশ দিয়েছি। তারা তদন্ত প্রতিবেদন পেশ করলে এবং অভিযোগ প্রমানিত হলে ব্যবস্থা নিব।