ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলা সদর ইউনিয়নের মাথাভাঙ্গা গ্রামে হিন্দুদের দু’পক্ষের সংঘর্ষে বিধ্বস্ত দুর্গা মন্দিরটি বহাল রাখা সহ পূনঃস্থাপনের দাবীতে জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি পেশ করেছেন ওই মন্দির কমিটির সেক্রেটারী শংকর চন্দ্র মন্ডল সহ ক্ষতিগ্রস্থ সংখ্যালঘুরা। গত বুধবার দুপুরে ফরিদপুর জেলা প্রশাসক অতুল সরকার উপজেলা পরিদর্শনকালে সংখ্যলঘুরা তার হাতে স্মারকলিপি তুলে দেন।
এ সময় জেলা প্রশাসক বলেন, “ মন্দির ঘর ভাংচুরের বিবাদটি সুষ্ঠ তদন্তের জন্য উপজেলা সহকারী সকমিশনার (ভুমি), উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ মোতালেব হোসেন মোল্যা ও ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আজাদ খানের সমন্বয়ে একটি কমিটি করে দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি তারা তদন্ত করে সমাধান করবেন”। এ ব্যাপারে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) ফারজানা নাসরীন বলেন, “ মন্দির ভাংচুরের বিষয়টি দু’একদিনের মধ্যে তদন্ত করে সঠিক সমাধান দেওয়ার চেষ্টা করবো”।
জানা যায়, গত ৪ মে বিকেলে একই গ্রামের সুরেশ মন্ডল ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা মিলে জমির মালিকানা দাবী করে মন্দির ঘরটি ভাংচুর করতে থাকে। এ সময় মন্দির কমিটি সেক্রেটারী শংকর চন্দ্র মন্ডলের লোকজন বাঁধা দিতে গিয়ে তারা হামলার শিকার হয় এবং মন্দিরটির টিনের বেড়া ও বারান্দা খুলে ফেরা হয়। এ নিয়ে দু’পক্ষ থেকে আদালতে দু’টি মামলা চলমান রয়েছে।
স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে, একই গ্রামের শংকর চন্দ্র মন্ডল ১২/১৪ বছর পূর্বে মন্দিরের নামে তিন শতাংশ জমি দলিল রেজষ্ট্রি করে দেওয়ার পর থেকে এলাকার সকল হিন্দুরা ওই মন্দিরে পুজা পার্বন করে আসছে। দিয়ারা ৪১২৫ নং দাগের মধ্যে মন্দিরটি প্রতিষ্ঠিত। ওই দাগে মোট জমির পরিমান ২৯ শতাংশ। এরমধ্যে প্রতিপক্ষ সুরেশ মন্ডল ১১.২৫ শতাংশ জমির মালিকানা দাবী করে মন্দিরটি ভাংচুর করেছেন।
এ ব্যাপারে সুরেশ মন্ডল জানায়, “ মন্দির ঘরের জমি ওয়ারিশানা স্বত্তের দাবীতে আমরা অন্যের কাছে বিক্রি করে দিয়েছি। তাই ক্রেতাকে জমি দখল দেওয়ার জন্য মন্দির ভেঙে তা অন্যত্র উঠিয়ে দিতে চেয়েছি, কিন্তু মন্দির রক্ষা কমিটি তা মানছে না ”।