বণার্ঢ্য আয়োজনে কক্সবাজারে উদ্যাপিত হয়েছে শ্রীশ্রী জগন্নাথ দেবের রথযাত্রা উৎসব। এ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার বিকেলে শহরের গোলদিঘীর পাড় চত্ত্বর থেকে ইস্কনের উদ্যোগে বের করা হয় রথযাত্রা বণার্ঢ্য শোভাযাত্রা। এর আগে অনুষ্ঠিত হয় ধর্মীয় আলোচনা সভা। এতে উদ্বোধকের বক্তব্যে কক্সবাজার সদর-রামু আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ¦ সাইমুম সরওয়ার কমল বলেন-বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা যখনই ক্ষমতায় থাকেন তখনই সব ধর্মের মানুষ স্ব স্ব ধর্মীয় অনুষ্ঠান নির্বিঘেœ পালন করতে পারে। তিনি বলেন-বাংলাদেশ একটি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। আর এই সম্প্রীতির দেশে আওয়ামী লীগ সরকার সব ধর্মের মানুষের সমান অধিকার নিশ্চিত করেছে। আর্ন্তজাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ ইস্কন কর্তৃক পরিচালিত শ্রীশ্রী রাধা দামোদর মন্দিরের উদ্যোগে আয়োজিত ধর্মীয় আলোচনা সভায় আশীর্বাদক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন-শ্রীমৎ ভক্তি মাধুর্য্য গোবিন্দ স্বামী মহারাজ, অন্যতম সন্নাসী, ইস্কন আমেরিকা ও প্রচারক, ইস্কন পাঞ্জাবীবাগ, দিল্লি, ভারত। এতে সংবর্ধিত অতিথি ছিলেন সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য কানিজ ফাতেমা আহমেদ। প্রধান বক্তা ছিলেন কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র মুজিবুর রহমান। শ্রীশ্রী রাধা দামোদর মন্দিরের অধ্যক্ষ শ্রীমান রাধা গোবিন্দ দাস ব্রহ্মচারীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ওই ধর্মীয় আলোচনা সভায় বিশেষ ছিলেন-পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন বিপিএম, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এএইচএম মাহফুজুর রহমান, জেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদের সভাপতি অ্যাডভোকেট রনজিত দাশ, সহকারী পুলিশ সুপার বাবুল চন্দ্র বণিক। উৎসবময় চৌধুরীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত ওই ধর্মীয় আলোচনা সভায় বক্তব্যে রাখেন¬-হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট্রের ট্রাস্টি অধ্যাপক প্রিয়তোষ শর্মা চন্দন, জেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বাবুল শর্মা, পৌর কাউন্সিলর হেলাল উদ্দিন কবির, জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সহ-সভাপতি উদয় শংকর পাল মিঠু, সদর উপজেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদের সভাপতি দীপক দাশ, জেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদের কর্মকর্তা ও সদর উপজেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সিনিয়র সহ-সভাপতি সাংবাদিক বলরাম দাশ অনুপম। রথযাত্রা হাজার হাজার নর-নারী অংশগ্রহণ করেন। দিনব্যাপি মাঙ্গলিক অনুষ্ঠানমালার মধ্যে আরো ছিল-মঙ্গল আরতি, শ্রীশ্রী জগন্নাথ বলদেব সুভদ্রা মহারাণীর রাজবেশ দর্শন ও গুরু পূজা, শ্রীশ্রী জগন্নাথ দেবের লীলা মহিমা পাঠ, বিশ^শান্তি মঙ্গল কামনায় অগ্নিষ্টোম হোমযজ্ঞ, ভোগ আরতি, শ্রীশ্রী জগন্নাথদেবের মহাপ্রসাদ বিতরণ, বৈদিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, তুলসী আরতি, গৌর আরতি নৃসিংহদেবের বন্দনা ও বড় পর্দায় বৈদিক চলচিত্র প্রদর্শনী।