কয়রায় লবন পানি তুলে ফসল সহ পরিবেশের ক্ষতি করার প্রতিবাদে মামলা করায় বাদীকে প্রান নাশের হুমকি দিচ্ছে বিবাদী। যে কারণে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে বাদী। এ থেকে পরিত্রান পেতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন কয়রা উপজেলার ভান্ডারপোল গ্রামের মোশারাফ ঢালীর পুত্র আশরাফুল ঢালী। গতকাল রবিবার বেলা ১১ টায় কয়রা উপজেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য তিনি বলেন, একই এলাকার মাহমুদুল হাসান (সোহাগ) গংরা সরকারি পিচের রাস্তা কেটে ওয়াপদার নিচে পাইপ বসিয়ে মৎস্য চাষের জন্য কয়রা নদী দিয়ে লবন পানি তুলে এলাকা প্লাবিত করে। এতে করে এলাকার সাধারন মানুষের ব্যাপক ক্ষতি সাধন হয়েছে।এমনকি সুন্দরবন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মাঠ লবন পানি প্রবেশ করার ফলে স্কুলের ছাত্র ছাত্রীদের যাতায়াতের পথ বিঘœ সৃষ্টি হয়েছে। লবন পানি উত্তোলনের কারণে আমার পুকুরের মাছ মারা যাওয়ার পাশাপাশি বাড়ির গাছ পালার ক্ষতি হয়েছে। এ সকল অভিযোগের ভিত্তিতে আমি ৪ জনকে আসামি করে কয়রা উপজেলার বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১ টি সিআর মামলা দায়ের করি। যার নং-১৬৬/১৯। ওই মামলায় আসামীদের বিরুদ্ধে বিজ্ঞ আদালত গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করে। বর্তমানে ২ জন আসামি গ্রেফতার হয়ে জেল হাজতে রয়েছে। মামলার ১নং আসামি মাহমুদুল হাসান (সোহাগ) ও ২নং আসামি লুৎফর রহমান গ্রেফতার না হওয়ায় তারা মামলা তুলে নেওয়ার জন্য আমাকে ও আমার পরিবারের সদস্যদের বিভিন্নভাবে হুমকি ধামকী দিয়ে ভয়ভীত প্রদর্শন করছে। তাদের আচারনে আমি বর্তমানে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। তাদের ভয়ে বাড়ি ছাড়া রয়েছি। আসামি লুৎফর রহমানের বিরুদ্ধে সরকারি বিভিন্ন খাশ জমি দখল করে ভোগদখলের অভিযোগ রয়েছে। সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে আসামীদের গ্রেফতার পুর্বক ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করছি।