দেশব্যাপী বরগুনার আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যাকান্ডের মূল হোতা রিমান্ডে থাকা রিফাত ফরাজীর স্বীকারোক্তি অনুযায়ী সোমবার সকাল সাড়ে ৯ টায় বরগুনা সরকারি কলেজের কলা ভবনের পিছনের পরিত্যক্ত ডোবা থেকে একটি রামদা উদ্ধার করেছে পুলিশ।
রিফাত শরিফকে কুপিয়ে হত্যা করার রামদাটি বরগুনা সরকারি কলেজের পিছনের ডোবায় ফেলা হয়েছে। রিমান্ড থাকা রিফাত ফরাজির তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ সেখানে গিয়ে অস্ত্রটি উদ্ধার করে। গ্রেপ্তার হওয়া রিফাত ফরাজীকে বরগুনার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মাধ্যমে সাতদিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ।
এ ঘটনায় ১২ জন আসামীর মধ্যে ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ১ নং আসামী নয়ন বন্ড পুলিশের সাথে কথিত বন্দুক যুদ্ধে নিহত হয়েছে। সন্দেহভাজন ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং ৩ জন আসামী আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছে।
এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শাহ্জাহান বলেন, রিফাত ফরাজী ৭ দিনের রিমান্ডে রয়েছে। তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী সোমবার সকালে বরগুনা সরকারি কলেজের কলা ভবনের পিছনের পরিত্যক্ত ডোবা থেকে একটি রামদা উদ্ধার করা হয়েছে।
এ মামলায় সন্দেহভাজন আরিয়ান শ্রাবন নামে একজনকে আজ সকালে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক হুমূয়ন কবীর জানান। তিনি আরোও বলেন দুপুরের পরে তাকে আদালতে তোলা হবে।
উল্লেখ্য, গত ২৬ জুন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে স্ত্রী আয়েশাকে বরগুনা সরকারি কলেজে নিয়ে যান রিফাত ফরাজি। কলেজ থেকে ফেরার পথে মূল ফটকে নয়ন, রিফাত ফরাজীসহ আরও দুই যুবক রিফাত শরীফের ওপর হামলা চালায়। এ সময় ধারালো অস্ত্র দিয়ে রিফাত শরীফকে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে তারা। রিফাত শরীফের স্ত্রী আয়েশা দুর্বৃত্তদের নিবৃত্ত করার চেষ্টা করেন। কিন্তু কিছুতেই হামলাকারীদের থামানো যায়নি। তারা রিফাত শরীফকে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে চলে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন রিফাতকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে রিফাত শরীফের মৃত্যু হয়।