খুলনার পাইকগাছায় কপোতাক্ষ নদের ভাঙনে হুমকিতে পড়েছে আকড়ঘাটা বাজার ও মামুদকাটী খেয়াঘাট সংলগ্ন ওয়াপদার বেড়িবাঁধসহ আশপাশ এলাকা। ভাঙন রোধ করা না গেলে যে কোনো মূহুর্তে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেড়িবাঁধ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী।
স্থানীয় ইউপি সদস্য কুমারেশ দে এফএনএসকে জানান, সাবেক ইউপি সদস্য নির্মলের বাড়ি থেকে মামুদকাটী খেয়াঘাট সংলগ্ন শ্মশান ঘাট পর্যন্ত প্রায় দেড় কিলোমিটার এলাকা জুড়ে ভয়াবহ ভাঙন দেখা দিয়েছে। তিনি আরো বলেন, সরকারি অনুদান না পেয়ে গ্রামে গ্রামে মানুষের কাছ থেকে বাঁশ কঞ্চি চেয়ে কর্মসূচির লোক দিয়ে সামান্য কাজ করেছি তাও টিকলো না। পার্শ্ববর্তী পাখিমারা বিলে টিআরএম পদ্ধতি চালু করায় কপোতাক্ষে প্রবল ¯্রােতের সৃষ্টি হয়েছে। আর এ ¯্রােতের কারণে ভাঙন দেখা দিয়েছে।
মামুদকাটী গ্রামের সব্ব বিশ্বাস এফএনএসকে জানান, বাপ-দাদার আমল থেকে আমরা এ গ্রামে বসবাস করে আসছি। কপোতাক্ষের প্রবল ¯্রােতে যেভাবে ভাঙন সৃষ্টি হয়েছে তাতে মনে হচ্ছে কিছুদিন পর আমরা আর এখানে বসবাস করতে পারবো না।
উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান মোড়ল রশিদুজ্জামান বলেন, ঐতিহ্যবাহী আকড়ঘাটা বাজারের উপর নির্ভর করে এলাকার খেটে খাওয়া মানুষের রুজি-রোজগার। বাজারটা নদীগর্ভে চলে গেলে অসহায় মানুষ রাস্তায় বসবে। বিষয়টি সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জুলিয়া সুকাইনা বলেন, আমি পাইকগাছায় যোগদান করার পর থেকে দেখছি যে, অধিকাংশ নদী ভেঙে অন্য জায়গায় চর জেগে উঠছে। সেই সঙ্গে ভাঙন এলাকার সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) উপজেলা প্রকৌশলী ফরিদ আহম্মদ এফএনএসকে বলেন, বর্ষা মৌসুমে জোয়ারের প্রভাবে ওয়াপদা বাঁধে ফাটল ধরে বেশি। চেষ্টা চালাচ্ছি বড়ো ধরনের কোনো ক্ষতি যেনো না হয়। এ ছাড়া ভাঙন রোধে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
স্থানীয় খুলনা-৬ আসনের সংসদ সদস্য আক্তারুজ্জামান বাবু বলেন, নির্বাচনে ওয়াদা করেছিলাম আমার নির্বাচনী এলাকায় আর কোনো নদী ভাঙন হতে দেবো না, সেই লক্ষ্যে ইতোমধ্যে বড়ো বড়ো ভাঙন আগে মেরামত করতে শুরু করেছি। বাকিগুলোর ব্যাপারেও দ্রুত ব্যবস্থা নেবো।