নুসরাত হত্যা মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণের অষ্টম কার্যদিবসে সাক্ষী দিয়েছেন নুসরাতের ছোট ভাই রাশেদুল হাসান রায়হান। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল এর বিচারক মামুনুর রশীদ এর আদালতে তার সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়।
সকাল সাড়ে ১১ টা থেকে বিকাল পাঁচটা পর্যন্ত চলে সাক্ষ্য গ্রহণ ও আসামি পক্ষের আইনজীবীদের জেরা।
এছাড়া মাদ্রাসা সন্মুক্ষের ওষুধ দোকানদার জহিরুল ইসলাম এর সাক্ষ্য গ্রহণের কথা থাকলেও সময় না থাকায় আদালত আগামীকাল তার সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য্য করেছেন। এ সময় মামলার আরেক সাক্ষী মাদ্রাসা শিক্ষক বেলায়েত হোসেনকেও সাক্ষ্য প্রদানের জন্য আদালতে হাজির থাকার নির্দেশ দেন বিচারক। শিক্ষক বেলায়েত হোসেন ঘটনার দিন পরীক্ষার কেন্দ্রে কর্তব্যরত ছিলেন।
সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ ও জেরার সময় এজলাস এর কাঠগড়ায় আলোচিত ১৬ আসামীও হাজীর ছিলেন।
সাক্ষ্য প্রদানকালে আদালতে নুসরাতের ছোট ভাই রায়হান বলেন, আমি আমার বোন নুসরাতের মুখে শুনেছি কিভাবে অধ্যক্ষ সিরাজ উদ্দৌলা তাকে শ্লীলতাহানি করেছিল। হত্যাকা-ের সকল বর্ননা দেয়ার সময় মিডিয়া ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত তথ্যও উল্লেখ করেন। রায়হান আদলতে আরো বলেন নুসরাতের ড্রাইং ডিক্লারেশন সময় নুসরাত বলে তাকে পরিক্ষার হল থেকে সম্পা নামের একটি মেয়ে নিসাতকে মারছে বলে তাকে সেল্টার হাউজে ছাদে নিয়ে যায় ৷ পরবর্তিতে মিডায়া ও পুলিশের মাধ্যমে আমরা জানতে পারি এই সম্পাই হচ্ছে উম্মে কুলসুম পপি৷
গত সাত কর্মদিবসে মামলার বাদী নুসরাতের বড় ভাই মাহমুদুল হাসান নোমান, নুসরাতের দুই সহপাঠী, মাদ্রাসার পিয়ন নুরুল আমিন, নৈশ প্রহরী মোঃ মোস্তফা, কেরোসিন বিক্রেতা লোকমান হোসেন লিটন, বোরকা বিক্রেতা জসিম উদ্দিন ও তার কর্মচারী হেলাল উদ্দিন ফরহাদ সহ মোট আটজন সাক্ষী তাদের সাক্ষ্য প্রদান শেষে আসামি পক্ষের আইনজীবীদের জেরার মুখোমুখি হন।
এ মামলার চার্জশিট জমা দেয়ার আগে ৭জন সাক্ষী আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
ফেনীর সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার আলিম পরীক্ষার্থী নুসরাত গত ৬ এপ্রিল ওই মাদ্রাসা কেন্দ্রে পরীক্ষা দিতে গেলে কৌশলে ছাদে ডেকে নিয়ে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে হত্যার চেষ্টা করা হয়। মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ-উদ-দৌলার বিরুদ্ধে করা শ্লীলতহানির মামলা তুলে না নেওয়ায় তাকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়।