শেরপুর জেলা সদরকে অন্তর্ভূক্ত করে রেলপথ স্থাপনের দাবিতে শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে গণস্বাক্ষর কর্মসূচি শুরু হয়েছে। সোমবার (৮ জুলাই) রাতে উপজেলার স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘স্টুডেন্ট পাওয়ার’ এ গণস্বাক্ষর নেয়া শুরু করে। ইনস্টিটিউট ফর এনভায়রনমেন্ট এ- ডেভেলপমেন্টের (আইইডি) সহায়তায় জনউদ্যোগ, শেরপুর এ কর্মসূচির আয়োজন করেছে। এ কর্মসূচি চলবে বুধবার দুপুর পর্যন্ত।
জানা গেছে, শেরপুর জেলা সদরকে অন্তর্ভূক্ত করে রেলপথ স্থাপনের দাবিতে গণস্বাক্ষর ও স্মারকলিপি প্রদানের কর্মসূচি হাতে নিয়েছে জনউদ্যোগ, শেরপুর। বুধবার (১০ জুলাই) দুপুরে শেরপুরের কেন্দ্রেীয় শহীদ মিনারে রেলপথ স্থাপনের দাবিতে গণস্বাক্ষর কর্মসূচি শেষ করে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দেয়া হবে।
স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন স্টুডেন্ট পাওয়ারের সভাপতি আতিক খান বলেন, রেলপথ স্থাপনের দাবিতে জনউদ্যোগ গণস্বাক্ষর ও স্মারকলিপি প্রদানের কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। এ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে আমাদের সংগঠনের সদস্যরা তিনটি ভাগে ভাগ হয়ে ঝিনাইগাতী উপজেলার সর্বস্তরের নাগরিকদের কাছ থেকে স্বাক্ষর গ্রহণ করছে।
জনউদ্যোগ শেরপুরের আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদ বলেন, শেরপুরে রেলপথ চাই, দাবিটি শেরপুরবাসীর প্রাণের দাবি। এরআগেও গত বছর আমরা রেলপথ স্থাপনের দাবিতে শতপদী পদযাত্রা ও স্মারকলিপি দিয়েছি। তিনি আরও বলেন, বিগত সরকারের রেলপথ মন্ত্রী মো. মুজিবুল হক জামালপুরের পিয়ারপুর রেল স্টেশনে আন্তঃনগর তিস্তা ট্রেনের আনুষ্ঠানিক যাত্রাবিরতির উদ্বোধন শেষে মহারাজা শশীকান্ত স্কুল এ- কলেজ মাঠে আয়োজিত এক জনসভায় শেরপুরে রেলপথ স্থাপনের ঘোষণা দেন। এরপর একনেকে ৫৩৭ কোটি টাকা বরাদ্দ পাওয়া সত্ত্বেও শেরপুরে আজও রেলপথের বাস্তবায়ন হচ্ছে না। শেরপুর জেলা সদরকে অন্তর্ভূক্ত করে রেলপথ স্থাপনে প্রধানমন্ত্রীর সুদৃষ্টি কামনা করেছেন তিনি।