চেক ডিজঅনার মামলায় গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এমপি পদে প্রতিদ্বন্দ্বীতাকারী সাজাপ্রাপ্ত আবদুল লতিফ স্বপন সওদাগর এবং আরেক ব্যবসায়ী আবদুস সাত্তারকে গ্রেফতার করে গতকাল মঙ্গলবার জেলে পাঠিয়েছে কুমিল্লার হোমনা থানা পুলিশ। পৃথক দুটি মামলায় গ্রেপতারী পরোয়ানাভুক্ত আসামিরা পলাতক ছিলেন। নিজ নিজ বাড়ি থেকে গত সোমবার রাতে আসামীদের গ্রেফতার করে পুলিশ।
সারুলিয়া ঢাকার ব্যবসায়ী মো. শফিউল্লাহ স্বপন ২০১৫ সালে হোমনা উপজেলার ইটাভরা গ্রামের মৃত নূরু মিয়া সওদাগরের ছেলে ব্যবসায়ী আবদুল লতিফ সওদাগর স্বপনের বিরুদ্ধে এনআই এক্টের ১৩৮ধারায় একটি মামলা দায়ের করেন। সিআর মামলা নং১৮৭/১৫ এবং দায়রা মামলা নং ১০৭০০/১৫। এর প্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ পঞ্চম আদালত গত ৯ জানুয়ারি ২০১৯খ্রি. আবদুল লতিফের বিরুদ্ধে তিন মাসের জেল এবং ২৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা পরিশোধের রায় প্রদান করেন।
অপরদিকে হোমনা উপজেলার দড়িচর গ্রামের মো. খলিলুর রহমানের ছেলে আবদুস সাত্তারের বিরুদ্ধে গত ২০১৮ সালে একই ধারায় আরেকটি মামলা দায়ের করেন ফ্রেশ সিমেন্টের ডিলার আনিসুর রহমান। সিআর মামলা নং ৪৬/১৮এবং এসটি মামলা নং ৯৭৭/১৮। গত ২৬ মে ২০১৯খ্রি. কুমিল্লার যুগ্ম দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালত আবদুস সাত্তারের বিরুদ্ধে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদ- এবং ৭ লাখ ৭৫ হাজার টাকা পরিশোধের রায় প্রদান করেন। আসামিরা পলাতক থাকায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপতারি পরোয়ানা জারী হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ গত সোমবার রাতে তাদের গ্রেপতার করে জেলে পাঠিয়েছে।
উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় জাকের পার্টির দাতা সদস্য আবদুল লতিফ স্বপন গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুমিল্লা-০২ হোমনা-তিতাস আসন থেকে গোলাপ ফুল প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন পরাজিত হন।
হোমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ মো. ফজলে রাব্বী সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এনআই এক্টের ১৩৮ ধারায় পৃথক দুইটি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতাকারী আবদুল লতিপ স্বপন এবং আরেক ব্যবসায়ী আবদুস সাত্তারের বিরুদ্ধে গতকাল সোমবার গ্রেপতারী পরোয়ানা থানায় এলে তাদের গ্রেপতার করে আজ (গতকাল মঙ্গলবার) জেলে পাঠানো হয়েছে।