ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলার কারিকর ডাঙ্গী গ্রামের আঃ বারেক প্রামানিকের বাহরাইন প্রবাসী ছেলে ইউসুফ প্রামানিক স্ত্রীর পরকীয়া বলি থেকে রক্ষা পেয়ে প্রায় ২০দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর প্রাণে বেঁচে গেলেও খুজে পায় নাই শিশু পুত্র ওমর ফারুকসহ স্ত্রী চম্পা খাতুন কে। পরকীয়া প্রেমিক পার্শ্ববতী আঃ করিম মৃধা ডাঙ্গী গ্রামের শেখ শাহজাহানের ছেলে শেখ রুবেল ঘটনার রাতে স্ত্রী চম্পা খাতুনের সহায়তায় ঘরে ঢুকে স্বামীকে ধারালো ছুরি দিয়ে দু’দফায় জবাই করতে গিয়ে ব্যার্থ হয়। এতে পরকীয়া প্রেমিকের ছুরির আঘাতে স্বামী ইউসুফ প্রামানিকের মুখের নিচের অংশ থুতমা সহ গলার এক অংশ গুরুতর জখম হয়। স্বামী ইউসুফ প্রামানিককে হত্যা চেষ্টা ব্যার্থ হওয়ার ক’দিন পর স্ত্রী শিশু পুত্রকে সঙ্গে নিয়ে প্রেমিকের হাত ধরে উধাঁও রয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে আহত স্বামী চরভদ্রাসন প্রেস ক্লাবে এসে সাংবাদিকদের জানায়, “বাহরাইন দেশে পাঁচ বছরকাল চাকুরীর সমস্ত আয় স্ত্রীর পিছনে ব্যায় করেছি, এমনকি তার জন্য আলাদা বাড়ী করে দিয়েছি তার জন্যও আমার আক্ষেপ নাই। আমি শুধু শিশু পুত্রকে ফিরে পেতে চাই”। এ ব্যাপারে চরভদ্রাসন থানায় একটি মামলা হয়েছে। মামলা নং-০৪, তাং ২০/৬/২০১৯ খ্রিঃ। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই শাহীনুর রহমান জানান, “ নিখোজ পরকীয়া প্রেমিক যুগলকে গ্রেফতারের জন্য জোর চেষ্টা চলয়ে যাচ্ছি। তারা এলাকায় নেই, সম্ভবত রাজধানী ঢাকাতে অবস্থান করছে”।
জানা যায়, স্বামী ইউসুফ প্রামানিক বাহরাইন দেশে চাকুরী করার ফাঁকে স্ত্রী চম্পা খাতুন তার আপন খালাতো ভাই শেখ রুবেলের সাথে পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পরে প্রায় দু’বছর কাল ধরে প্রেমিক যুগল উঠাবসা করে আসছে। প্রায় আড়াই মাস আগে স্বামী ইউসুফ প্রামানিক ছুটিতে বাড়ী ফিরে পরকীয়া সম্পর্কের ঘটনা জানতে পারেন এবং স্ত্রীকে কড়া শাসনের মধ্যে রাখেন। গত ১৫ জুন দিবাগত গভীর রাতে স্ত্রী চম্পা খাতুন হঠাৎ বিছানা থেকে উঠে ঘরের দরজা খুলে দেয়। এ সময় পরকীয়া প্রেমিক শেখ রুবেল হাতে ধারালো বড় ছুরি নিয়ে ঘরে ঢুকে বাম হাত দিয়ে স্বামীর মুখ চেপে ধরে ডান হাত দিয়ে তার গলা বরাবর আঘাত করে। কিন্তু ঘুমন্ত স্বামী টের পেয়ে গেলে উভয়ের মধ্যে ধ্বস্তাধ্বস্তি হয়। পরকীয়া প্রেমিক ধ্বস্তাধ্বস্তির মধ্যে দ্বিতীয় দফায় স্বামীর গলা কাটার জন্য আঘাত করে। এতে স্বামীর মুখের নিচ অংশের থুতমা সহ গলার একাংশ গুরুতর জখম হয়। এ সময় স্বামীর সৌরচিৎকারে এলাকাবাসী ছুটে এলে পরকীয়া প্রেমিক দৌড়ে পালাতে স্বক্ষম হয়। পরে আহত স্বামীকে প্রথমে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রাখা হয়। আর এ ফাঁকে স্ত্রী চম্পা খাতুন শিশুপুত্র ওমর ফারুককে সঙ্গে নিয়ে পরকীয়া প্রেমিকের সাথে উধাঁও রয়েছে বলে জানা যায়।