খুলনার পাইকগাছায় ভিজিডির কার্ড করে দেয়ার কথা বলে এক ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে টাকা নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীরা আদালত ও জেলা প্রশাসকের নিকট দারস্ত হয়েছেন।
মামলা ও অভিযোগ সূত্রে প্রকাশ, উপজেলার চাঁদখালী ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও প্যানেল চেয়ারম্যান মো. আহসান উল্লাহ সরদার ভিজিডির কার্ড করে দেয়ার নাম করে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের ২০ জন অসহায় দরিদ্র ভূমিহীন পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে মাথাপিছু ৫ হাজার করে টাকা নেন। এমনকি প্রত্যেকের কাছ থেকে জাতীয় পরিচয়পত্র গ্রহণ করেন। কিন্তু গত ২৭ মে তারিখে চাঁদখালী ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্সে ভিজিডির মালামাল বিতরণকালে টাকা প্রদানকারীরা জানতে পারেন তালিকায় তাদের নাম নেই। অথচ এলাকার সচ্ছল, চাকরিজীবী, ব্যবসায়ী, ঘের মালিক, রেশন কার্ডধারী ব্যক্তিদের নামে কার্ড প্রদান করা হয়েছে। এ নিয়ে ইউপি সদস্যের সঙ্গে কথাকাটির একপর্যায়ে ইউপি সদস্য তাদের শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।
এ ঘটনায় দেবদুয়ার গ্রামের শেখ সামজেদ আলীর স্ত্রী মোছা. ইছু আরা বেগম বাদী হয়ে ইউপি সদস্য মো. আহসান উল্লাহ সরদারের নামে পাইকগাছায় সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে নির্দেশ প্রদান করেছেন।
অপরদিকে ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা সচ্ছল ব্যক্তিদের নাম বাতিল করে প্রকৃত অসহায়, দরিদ্র পরিবারের সদস্যদের নাম অন্তর্ভুক্ত করার জন্য জেলা প্রশাসক বরাবর অভিযোগ দাখিল করেছেন। জেলা প্রশাসক তদন্তপূর্বক নিজস্ব মতামতসহ প্রতিবেদন প্রেরণের জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে নির্দেশ প্রদান করেছেন।
অভিযোগ অস্বীকার করে ইউপি সদস্য মো. আহসান উল্লাহ সরদার জানান, অসহায় লোকদের বাছাই করেই তালিকা করা হয়েছে।
তবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জুলিয়া সুকায়না জানান, ভিজিডি কার্ডের ব্যাপারে কোনো অনিয়ম হয়ে থাকলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।