পাটের দাম উদ্ধমুখী থাকায় চলতি মৌসুমে খুলনার পাইকগাছায় পাট চাষে আগ্রহসহ আবাদ কিছুটা বেড়েছে। পাটের বীজ বপন মৌসুমে পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হওয়া ও বৈরী আবহাওয়া সত্ত্বেও উপজেলায় পাটের আবাদ ভাল হয়েছে।
উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে, চলতি মৌসুমে ৩৫৫ হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ হয়েছে। যা গত বছর ছিল ৩০৩ হেক্টর। এ বছর তোষা ৩শ ৫০ হেক্টর ও দেশী ৫ হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ হয়েছে। লবনাক্ত উপজেলায় ১০টি ইউনিয়নের মধ্যে গদাইপুর, হরিঢালী, কপিলমুনি, রাড়-লী ও পৌরসভার কিছু জমিতে পাটের আবাদ হয়েছে।
উপজেলার গোপালপুর গ্রামের কৃষক সবুর হোসেন ও আবুল কাশেম এফএনএসকে জানান, পাট চাষের শুরুতে অনাবৃষ্টির কারণে পাট চাষের জন্য জমিতে জো না থাকায় সময়মত পাট বীজ বপন করতে পারেনি। তবে কোনো কোনো কৃষক পানি সেচ ব্যবস্থার মাধ্যমে পাট বীজ বপন করেন। পরবর্তীতে বৃষ্টি হওয়ায় পাটের আবাদ ভাল হয়েছে। কৃষক সবুর এফএনএসকে জানান, উপজেলায় পাট আবাদ করার পরে পাট জাগ দেওয়া নিয়ে বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। কারণ দিন দিন ডোবা ও জলাশয়গুলি ভরাট হয়ে যাওয়ায় পাট জাগ দেওয়া জায়গা পাওয়া যায় না। একই স্থানে একাধিকবার পাট জাগ দিতে হয়।
এতে সময়মত পাট জাগ দিতে না পারায় পাটের আঁশ ভাল পাওয়া যায় না। ফলে আর্থিক ভাবে ক্ষতি স্বীকার হতে হয়। কৃষকরা তোষাও ৯৮ ও ৯৭, দেবগ্রী ও বঙ্কিম জাতের বীজ বেশি বপন করেছে। খেত বিশেষ পাট প্রায় ৪ থেকে ৬ ফুট পর্যন্ত পাটের উচ্চতা বৃদ্ধি পেয়েছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ এএইচএম জাহাঙ্গীর আলম এফএনএসকে জানান, চলতি মৌসুমে পাট বীজ বপনের সময় জমিতে জো না থাকায় কৃষকদের পাট চাষ করতে কিছুটা দেরি হয়েছে। পরবর্তীতে বৃষ্টি হওয়ায় পাটের আবাদ ভাল হয়েছে এবং পাটকাঠি ও পাটের আঁশ থেকে কৃষকরা আশানুরূপ মূল্য পাবেন বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।