ঝালকাঠির রাজাপুরের বড়ইয়া ইউনিয়নে এলজিইডির আওতায় ৬২ লাখ টাকা ব্যয়ে নতুন করে পীচ ঢালাই দিয়ে নির্মান করা সড়ক ২৪ ঘণ্টা যেতে না যেতেই কয়েক স্থানে ভাঙন ও রাস্তার মধ্যে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এতে যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। দুর্ভোগে পড়েছে স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার হাজার হাজাার যাতায়াতকারীরা। উপজেলা এলজিইডি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এলজিইডির অধীনের্ গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় বড়ইয়া ইউনিয়নের বড়ইয়া-মিরেরহাট সড়কের ৩০৯ নম্বর চেইনের কলাকোপা রুস্তুম মাস্টারের বাড়ি হতে কলাকোপা নতুন বাজার পর্যন্ত ১ হাজার ৩৮৫ মিটার সড়ক পাকাকরণের জন্য ঝালকাঠির ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সৈয়দ এন্টারপ্রাইজ ৬২ লাখ ৪ হাজার ৪৮৩ টাকা টাকা ব্যয়ে কাজের জন্য চুক্তিবন্ধ হয়। এ বছরের ৫ জুন সড়কটি কাজ শেষ হয়। বড়ইয়া ইউনিয়নের ইউপি সদস্য আহসান কবির জানান, কাজ শেষ হওয়ার ২৪ ঘণ্টা যেতে না যেতেই হাওলাদারবাড়ি ও চৌকিদারবাড়ি এলাকার স্থানসহ সড়কটি অনেক জায়গায় সড়কের পাশ ধসে গেছে এবং মধ্যে বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হয়ে চলাচলে অনুপযোগী হয়ে যায়। কোনো কোনো স্থানে সড়কের দুই পাশের মাটিসহ কার্পেটিং দেভে গেছে। এমন অবস্থায় সড়কটি দিয়ে চলাচলে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে স্থানীয়রা। স্থানীয়দের অভিযোগ, সঠিকভাবে কাজ না করায় এমন অবস্থায় হয়েছে, কোনমতে কাজ সম্পন্ন হওয়ায় এমন পরিস্থিতি হলেও কর্তৃপক্ষ কোন ব্যবস্থাই নিচ্ছে না বা কেহ পরিদর্শনেও যায়নি। এ কাজের তদারকির দায়িত্বে থাকা এলজিইডির সার্ভেয়ার মো. সোহানুর রহমান জানান, ভাঙনের বিষয়টি আমি শুনেছি এবং ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ও ঠিকাদারিকে বিষয়টি জানিয়েছি। এ বিষয়ে ঠিকাদার সৈয়দ হাদিসুর রহমান মিলন সাংবাদিকদের জানান, কাজটি মানসম্মত ও সঠিকভাবেই করা হয়েছিল। কিন্তু কয়েকদিনের টানা বর্ষা ও জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পাওয়া সড়কের কিছুটা ক্ষতিগ্রস্থ এবং পানির চাপে ও ¯্রােতে সড়কের নীচ দিয়ে নালা সৃষ্টি হয়ে গর্ত হয়েছে। বর্ষা মৌসুম গেলে আবার সংস্কার করা হবে সড়কটি।