চট্টগ্রামে আগামি ২০ জুলাই বিএনপির বিভাগীয় মহা সমাবেশ বানচাল করার উদ্দেশ্যে চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রদল সভাপতি গাজী মো: সিরাজ উল্লাহকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে উল্লেখ করে এক যুক্ত বিবৃতি দিয়েছেন মহানগর ছাত্রদল নেতৃবৃন্দ। আজ বৃহস্পতিবার সকালে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দরা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার তাদের ক্ষমতা পাকাপোক্ত করার নোংরা অপচেষ্টার অংশ হিসেবেই ছাত্রনেতাদের গ্রেফতার করছে। ছাত্রনেতারা দেশ ও জাতির প্রয়োজনে নিঃস্বার্থ ও নিরলসভাবে কাজ করে বলেই তারা যে কোন স্বৈরাচারের সর্বপ্রথম শিকার হয়।
তারই ধারাবাহিকতার অংশ হিসেবে চট্টগ্রামের ছাত্র সমাজের একজন উজ্জ্বল নক্ষত্র গাজী মো: সিরাজ উল্লাহকে মিথ্যা, বানোয়াট ও ভীত্তিহীন মামলায় গ্রেফতার করেছে পুলিশ। স্বৈরাচারেরা হয়ত: ভুলে গেছে ছাত্রদের কখনো দাবিয়ে রাখা যায় না। গাজী সিরাজ একজন জনপ্রিয় ও পরিচ্ছন্ন ছাত্রনেতা। তার মেধা ও সাংঠনিক দক্ষতায় ভীত সন্ত্রস্ত আওয়ামী লীগ রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং এ মিথ্যা মামলায় পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবেই তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ আরো বলেন- বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে আগামি ২০ জুলাই চট্টগ্রামের ঐতিহাসিক মহা সমাবেশ পন্ড করার গভীর ষড়যন্ত্রের অংশই হচ্ছেই গাজী সিরাজকে গ্রেফতার করা হয়েছে। চট্টগ্রামের ছাত্র সমাজকে একত্র করে বৃহৎ আন্দোলন গড়ে তোলার মত সক্ষমতা সম্পন্ন ছাত্রনেতা গাজী সিরাজ উল্লাহ আওয়ামী লীগের রাষ্ট্রীয় নির্যাতনের শিকার। আমরা অনতিবিলম্বে গাজী মো: সিরাজ উল্লাহর নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানাই। বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন মহানগর ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি মাঈনুদ্দিন মো: শহীদ, সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলু, সহ-সভাপতি একে এম ফজলুল হক সুমন, জসিম উদ্দিন চৌধুরী, জিয়াউর রহমান জিয়া, যুগ্ম সম্পাদক আলী মর্তুজা খান ও জমির উদ্দিন নাহিদ প্রমুখ।
এদিকে গতকাল বুধবার চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রদল সভাপতি গাজী মো: সিরাজ উল্লাহকে বিভিন্ন থানার ৪৪টি মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে পুলিশ আদালতে হাজির করেন। এ সময় বিজ্ঞ আদালত তার জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। উল্লেখ্য, তার বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম মহানগরের বিভিন্ন থানায় প্রায় শতাধিক রাজনৈতিক মামলা রয়েছে।