ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলা সদরে বিএস ডাঙ্গী গ্রামের হেলিপ্যাডের বাম পাশে সরু খালের মধ্যে সংযোগকারী কাঁচা রাস্তায় সদ্য নির্মিত কালভার্ট নির্মানের মাত্র দেড় মাসে বৃষ্টির পানির চাপে শনিবার ভোররাতে কালভার্টটি ভেঙে পানির মধ্যে বিলীন হয়ে রয়েছে। এতে ওই গ্রামের শতাধিক পরিবার যাতায়াতে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। উপজেলা বিআরডিবি অফিসের মাধ্যমে গত মে মাসের শেষ নাগাদে কালভার্টটির নির্মান কাজ সম্পন্ন করা হয়েছিল এবং এলাকাবাসী প্রায় দেড় মাসকাল কালভার্ট দিয়ে যাতায়াতে করেছেন বলে জানা যায়।
জানা যায়, ২০১৮-২০১৯ অর্থ বছরে উপজেলা বিআরডিবি অফিস ওই গ্রামের কাঁচা সড়ক দিয়ে জনযাতায়াত সুগোম করার লক্ষ্যে একটি কালভার্ট নির্মানের জন্য ৬১ হাজার টাকা ব্যয় বরাদ্দ দেন। উপজেলা বিআরডিবি অফিসের ইউনিয়ন ডেভেলপম্যান্ট কর্মকর্তা রাকিব হাসান কালভার্টটি নিজ দায়িত্বে নির্মান করেন। কালভার্টটি নির্মানকালে অত্যন্ত নি¤œমান সামগ্রী ব্যবহার হয় বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ রয়েছে।
শনিবার বিলীন হয়ে যাওয়া কালভার্টের পাশের এক বসতি আঃ ওহাব শেখ (৫০) জানায়, “ কালভার্টটি নির্মানকালে অত্যান্ত নি¤œমান সামগ্রী ব্যবাহার না করার জন্য আমরা বহুবার মৌখক আপত্তি করেছি। কিন্তু সংশ্লিষ্টরা আমাদের কোনো তখায় কর্ণপাত করেন নাই”। এলাকার আরেক বসতি খলিল ফকির (৫৫) বলেন, “ ওই বিআরডিবি কর্মকর্তা আমাদের কথায় কর্ণপাত না করার ফলে আমরা এলাকার চেয়ারম্যান মেম্বারদেরও নি¤œমান সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ করেছি, কিন্তু কোনো কাজ হয় নাই”।
এ ব্যাপারে উপজেলা বিআরডিবি অফিসের ইউনিয়ন ডেভেলপম্যান্ট কর্মকর্তা রাকিব হাসানকে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, “ শনিবার আমি ছুটিতে গ্রামের বাড়ী আছি। কেন যে কালভার্টটি ভেঙে বিলীন হয়ে গেল তা বুঝতে পারলাম না। তিনি আরও জানান, আমরা কোনো ইঞ্জিনিয়ারের মাধ্য্যমে কালভার্ট নির্মান করি না। এলাকার মিস্ত্রীদের সাথে আলাপ করেই গ্রাম্য জনপথে উন্নয়ন কাজ করি”। আর উপজেলা বিআরডিবি কর্মকর্তা আঃ হান্নান মিয়া বলেন, “ কালভার্টটি বিলীন হওয়ার বিষয়টি আশ্চার্য্য লাগছে, কি এমন বৃষ্টি হলো যে কালভার্টটি ভেঙে পানির নিচে তলিয়ে গেল ? রবিবার অফিস চলাকালিন সময়ে তিনি সরেজমিন পরিদর্শন করবেন বলেও জানান”।