গত ক’দিনের বৃষ্টি ও পাশর্^বর্তি দেশের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে যমুনা ও ব্রহ্মপুত্র নদ নদীর পানি অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পেয়ে জামালপুরে বন্যা দেখা দিয়েছে। গত ১৩জুলাই বিকাল ৩টা পর্যন্ত ২৪ ঘন্টায় যমুনার পানি বৃদ্ধি পেয়ে বাহাদুরাবাদঘাট পয়েন্টে বিপদ সীমার ৫৪ সেন্টি মিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে জানিয়েছেন জামালপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড(পাউবো) এর নির্বাহী প্রকৌশলী নবকুমার চৌধুরী এবং পানি মাপক গেজ পাঠক আবদুল মান্নান। এদিকে বন্যার পানিতে ইসলামপুর উপজেলায় প্রায় ৩০হাজার মানুষ পানি বন্দি হয়ে পড়েছে। জেলার দেওয়ানগঞ্জ.ইসলামপুর,বকসিগঞ্জ,মেলান্দহ,মাদারগঞ্জ,জামালপুর সদর ও সরিষাবাড়ি এই ৭টি উপজেলার মধ্যে ইসলামপুর ও দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার নিন্মাঞ্চল বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। ইসলামপুর উপজেলার কুলকান্দি, বেলগাছা, চিনাডুলী, সাপধুরী, পার্থর্শী, নোয়ারপাড়া, ইসলামপুর সদর, পলবান্দা ও ইসলামপুর পৌরসভার সিংহ ভাগ এলাকা এবং দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার চুকাইবাড়ী, চিকাজানী,বাহাদুনাবাদ,চর আমখাওয়া ইউনিয়নের বন্যার পানিতে নিন্মাঞ্চল তলিয়ে গেছে।
এদিকে বন্যার পানি বৃদ্ধি ফলে চিনাডুলী ইউনিয়নের গিলাবাড়ী-বামনা সড়ক এলাকার বাদশা মেম্বারের বাড়ী সংলগ্ন ভেঙ্গে যাওয়ায় ১০ গ্রামের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এবং একই ইউনিয়নের উলিয়াবাজার সংলগ্ন এলাকায় বাাঁধ ভেঙ্গে বন্যার পানি হুহু করে ঢুকছে। ইতো মধ্যে চিনাডুলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,চিনাডুলী উচ্চ বিদ্যালয়,চিনাডুলী মহিলা দাখিল মাদ্রাসা,ড্যারাইপ্যাচ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, ড্যারাইপ্যাচ ভোকেশনাল পানিতে তলিয়ে গেছে। দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার চুকাইবাড়ি বন্যার তোড়ে রাস্তা ভেঙ্গে পানি ঢুকছে। বন্যায় এলাকার কৃষকদের বীজতলা, আখ,কাঁচা শাক-সবজি,তরিতরকারী,বন্যার পানিতে তলিয়ে বিনষ্ট হচ্ছে।
এ বিষয়ে জেলা ত্রান ও পুর্নবাসন কর্মকর্তা নায়েব আলী জানান,ইসলামপুর এবং দেওয়ানগঞ্জ দুই উপজেলার জন্য বন্যাত্বদের মাঝে ২০ মেঃটন চাল এবং নগদ ৫০হাজার টাকা, অবশিষ্ট ৫উপজেলায় ১০ মেঃটন চাল এবং ২০হাজার করে টাকা ত্রান বরাদ্ধ করা হয়েছে। সারা জেলায় মোট ৯০মেঃটন চাল এবং ২লাক্ষ নগদ টাকার পাশাপাশি ২হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরণের জন্য প্রেরণ করা হয়েছে বলে তিনি নিশ্চিত করেছেন।
এ ব্যাপারে জামালপুর-২ আসনের স্থানীয় এমপি আলহাজ ফরিদুল হক খান দুলাল জরুরী ভিক্তিতে মাননীয় প্রধান মন্ত্রীসহ খাদ্য ও ত্রান মন্ত্রী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।