গত ক’দিনের বৃষ্টি ও দেশের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে যমুনা ও ব্রহ্মপুত্র নদ নদীর পানি অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পেয়ে জামালপুরে বন্যা দেখা দিয়েছে। গত ১৪জুলাই দুপুর ১২টা পর্যন্ত ২৪ ঘন্টায় যমুনার পানি বৃদ্ধি পেয়ে বাহাদুরাবাদঘাট পয়েন্টে বিপদ সীমার ৮৫ সেন্টি মিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে জানিয়েছেন জামালপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড(পাউবো) এর নির্বাহী প্রকৌশলী নবকুমার চৌধুরী এবং পানি মাপক গেজ পাঠক আবদুল মান্নান। জেলা ত্রান ও পুর্ণবাসন অফিস সুত্রে জানাযায়, জেলার দেওয়ানগঞ্জ. ইসলামপুর, বকসিগঞ্জ, মেলান্দহ, মাদারগঞ্জ,জামালপুর সদর ও সরিষাবাড়ি এই ৭টি উপজেলার মধ্যে ২৯টি ইউনিয়নের নিন্মাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। ইসলামপুর উপজেলার কুলকান্দি, বেলগাছা, চিনাডুলী, সাপধুরী, পার্থর্শী, নোয়ারপাড়া, ইসলামপুর সদর, পলবান্দা ও ইসলামপুর পৌরসভার সিংহ ভাগ এলাকা এবং দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার চুকাইবাড়ী, চিকাজানী, বাহাদুরাবাদ, চরআমখাওয়া ইউনিয়নের বন্যার পানিতে নিন্মাঞ্চল তলিয়ে গেছে।ফলে এসব এলাকার প্রায় ৫০হাজার মানুষ পানি বন্দি হয়ে পড়েছে।
এদিকে পানির প্রচন্ড ¯্রােতে চিনাডুলী ইউনিয়নের দেওয়ানপাড়া গ্রামের ১১টি পরিবারের ঘরবাড়ি ভেসে গেছে। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তরা আশপাশের উঁচু রাস্তায় আশ্রয় নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। চিনাডুলী-উলিয়ার বাজার ও গিলাবাড়ী-বামনা সড়ক ভেঙ্গে যাওয়ায় ১০ গ্রামের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। বন্যার পানি উলিয়াবাজার সংলগ্ন এলাকায় বাাঁধ ভেঙ্গে বন্যার পানি ঢুকছে। দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার চুকাইবাড়ি রাস্তা ভেঙ্গে পানি হুহু করে ঢুকছে। ইতো মধ্যে চিনাডুলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,চিনাডুলী উচ্চ বিদ্যালয়,চিনাডুলী মহিলা দাখিল মাদ্রাসা,ড্যারাইপ্যাচ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, ড্যারাইপ্যাচ ভোকেশনালসহ দুই উপজেলায় প্রায় অর্ধশত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। বন্যায় এলাকার কৃষকদের বীজতলা, আখ,কাঁচা শাক-সবজি,তরিতরকারী,বন্যার পানিতে তলিয়ে বিনষ্ট হচ্ছে।
এ বিষয়ে জেলাআজ দুপুরে জামালপুরের জেলা প্রশাসক আহম্মেদ কবীর ও জেলা ত্রান ও পুর্ণবাসন কর্মকর্তা নায়েব আলী ইসলামপুর উপজেলার বন্য কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন।