ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলা পদ্মা পারের বসতিরা গরু চোর আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন বলে রবিবার কৃষকরা হতাশা ব্যক্ত করেছেন। চলতি বর্ষা মৌসুমে জোয়ারের পানিতে ছয়লাব হয়ে রয়েছে পদ্মা পারের কৃষক পরিবারগুলো। আর কোরবারনী ঈদকে সামনে রেখে চোর-ডাকাতের সংঘবদ্ধ চক্র প্রতিনিয়ত গভীর রাতে ট্রলারযোগে হানা দিয়ে চলেছে গৃহস্থ পরিবার সহ গরুর খামারগুলোতে। এতে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছে পদ্মা পারের বসতিরা।
এ ব্যপারে রবিবার দুপুরে চরভদ্রাসন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুন অর রশিদ বলেন, “ আমি এখন পদ্মা পারে অবস্থান করছি। গরু চুরি প্রতিরোধে নিয়মিত নৌপুলিশ টহল ব্যবস্থা জোরদার করেছি। আমাদের যেহেতু পর্যাপ্ত পুলিশ নেই, তাই পদ্মা পারের এলাকাগুলোতে রাতে গ্রাম পুলিশের মাধ্যমে স্থানীয়রা টহলের ব্যবস্থা করলে আমরা তাদের সর্বাতœক সহায়তা করতে পারবো”।
জানা যায়, পদ্মা নদীতে পানি বৃদ্ধির ফলে চরাঞ্চলের বসতি পরিবারের আশপাশের ফসলী মাঠ ছয়রাব হয়ে গেছে। এতে চোর ডাকাতের সংঘবদ্ধ দল ট্রলারযোগে গভীর রাতে অনায়াশে হানা দিয়ে চলেছে কৃৃষক পরিবারে। চোর চক্র গৃহস্থ পরিবারে ঢুকে পােেলর গররু নিয়ে উঁধাও হয়ে যাচ্ছে। গত ক’দিনে উপজেলা পদ্মা পারের বালিয়া ডাঙ্গী গ্রামের রহম বিশ্বাস বাড়ী, নজরুল ইসলাম বিশ্বাসের বাড়ী চর কলল্যানপুর গ্রামের আইয়ুব শেখের বাড়ী, মধু ফকির ডাঙ্গী গ্রামের শেখ বছির উদ্দিনের পরিবার ও খায়রুল বেপারীর বাড়ী সহ বিভিন্ন কৃষক পরিবারের পালের গরু লুটে নিয়েছে দুর্বৃত্তরা।
রবিবার উপজেলা পদ্মা পারের চর ঝাউকান্দা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্য্যান মোঃ ফরহাদ হোসেন মৃধা জানান, “ পদ্মা পারে প্রতি রাতেই ট্রলারযোগে চোর ডাকাত হানা দিয়ে চলেছে। গ্রামে গ্রামে আমরা রাত জেগে চোর ডাকাত পাহাড়া দিয়ে চলেছি। তাই দৃর্বৃৃত্তরা গৃহস্থ পরিবারের বেশী ক্ষতি করতে পারছে না”। আর পদ্মা নদী মাঝখানে চর কল্যানপুর গ্রামের গরু খামারের মালিক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এ.জি.এম বাদল আমিন বলেন, “ পদ্মা চরের বসতি পরিবারগুলো অনেক ফাঁকা ফাঁকা পরিবার। চরগুলোর চারদিক দিয়ে পদ্মার পানিতে বেষ্টিত। তাই এসব চরের পরিবার চোর ডাকাতের উপদ্রব থেকে রক্ষা করতে হলে নিয়মিত পুলিশি টহল জোরদার করা দরকার”।