চট্টগ্রাম শহর রক্ষায় উপকূলীয় বাঁধ কাম আউটার রিং রোডে কয়েকটি অংশ ধসে পড়েছে। গতকাল শনিবার সকালে স্থানীয় লোকজন ওই ধসে পড়া দৃশ্য দেখতে পায়। এরপর ঘটনাটি দেখতে আশপাশের লোকজন ছুটে যায়। এ প্রসঙ্গে প্রকল্প পরিচালক ও চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের প্রধান প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন শামস গণমাধ্যম কর্মীদের বলেন, সাগরে পানি বেড়ে যাওয়ায় ব্লক সরে বিশাল অংশ দেবে গেছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানাগেছে, পতেঙ্গা চরপাড়ায় সাগরের পাশ হাঁটার রাস্তার বাঁধের ব্লক সরে মাটি তলিয়ে যায়। এজন্য সিসি ঢালাইয়ে তৈরি ওয়াকওয়েটি ধসে পড়েছে।
এ অবস্থায় ওই অংশ ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। সেখানে আরো ধসে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। এখনো ওয়াকওয়ে তৈরির কাজ শেষ হয়নি। এরইমধ্যে সেটি ধসে পড়েছে। এতে নি¤œমানের কাজের কারণে এ ঘটনা ঘটেছে বলে অনেকেই ধারণা করছেন। এদিকে নগর পরিকল্পনাবিদ প্রকৌশলী দেলোয়ার হোসেন মজুমদার বলেন, এ ধরনের কাজ করা মানে অর্থ অপচয়। ধসের কারণ জানতে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। এর আগে, জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা (জাইকা) ২০০৫ সাল থেকে পতেঙ্গা হতে ফৌজদারহাট পর্যন্ত বেড়িবাঁধ কাম আউটার রিং রোড নির্মাণের জন্য সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজ শুরু হয়।
যাচাই শেষে ২০০৭ সালে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে চুক্তি করে জাইকা। শুরুতে এ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয় ৮শ’৬৫ কোটি ২৮ লাখ ৬০ হাজার টাকা। পরে ব্যয় ধরা হয়েছে ২ হাজার ৪শ’২৬ কোটি ১৪ লাখ ৯৫ হাজার টাকা। এর মধ্যে বাংলাদেশ সরকার ১ হাজার ৭শ’২০ কোটি ১১ লাখ ৮০ হাজার ও জাইকার সহায়তা ৭০৬ কোটি টাকা। ইতোমধ্যে প্রকল্পের বেশিরভাগ কাজ শেষ হয়েছে। চলতি বছর এ প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা। এ প্রকল্পের আওতায় ১৭ দশমিক ৩৫ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণ হবে। এর মধ্যে ১৫ দশমিক ২০ কিলোমিটার মূল সড়ক ও ২ দশমিক ১৫ কিলোমিটার সংযোগ সড়ক। এ ছাড়াও অন্তত সাড়ে ৫ কিলোমিটার ওয়াকওয়ে তৈরি করা হবে।