গত ক’দিনের বৃষ্টি ও পাশর্^বর্তি দেশের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে যমুনা ও ব্রহ্মপুত্র নদ নদীর পানি অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পেয়ে জামালপুরে বন্যা দেখা দিয়েছে। গত ১৪জুলাই দুপুর ৩টা পর্যন্ত ২৪ ঘন্টায় যমুনার পানি বৃদ্ধি পেয়ে বাহাদুরাবাদঘাট পয়েন্টে বিপদ সীমার ৯০ সেন্টি মিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে জানিয়েছেন জামালপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড(পাউবো) এর নির্বাহী প্রকৌশলী নবকুমার চৌধুরী এবং পানি মাপক গেজ পাঠক আবদুল মান্নান।
এদিকে জেলা ত্রান ও পুর্ণবাসন অফিস সুত্রে জানাযায়, জামালপুরের ৭টি উপজেলার ৬৮ইউনিয়নের মধ্যে ৩৩টি ইউনিয়ন প্লাবিত হয়ে প্রায় অর্ধলক্ষ মানুষ পানি বন্দি হয়ে পড়েছে। প্রবল বন্যায় দেওয়ানগঞ্জ. ইসলামপুর, মেলান্দহ, মাদারগঞ্জ এই ৪টি উপজেলার মোট ৬৩টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পানিতে সয়লাভ করায় বন্ধ ঘোষনা করা হয়েছে নিশ্চিত করেছেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো.শহিদুল ইসলাম।
এদিকে পানির প্রচন্ড ¯্রােতে চিনাডুলী ইউনিয়নের দেওয়ানপাড়া গ্রামের ১১টি পরিবারের ঘরবাড়ি ভেসে গেছে। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তরা আশপাশের উঁচু রাস্তায় আশ্রয় নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। চিনাডুলী-উলিয়ার বাজার ও গিলাবাড়ী-বামনা সড়ক ভেঙ্গে যাওয়ায় ১০ গ্রামের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। বন্যার পানি উলিয়াবাজার সংলগ্ন এলাকায় বাাঁধ ভেঙ্গে বন্যার পানি ঢুকছে। দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার চুকাইবাড়ি রাস্তা ভেঙ্গে পানি হুহু করে ঢুকছে। বন্যায় এলাকার কৃষকদের বীজতলা, আখ,কাঁচা শাক-সবজি,তরিতরকারী,বন্যার পানিতে তলিয়ে বিনষ্ট হচ্ছে।
এ বিষয়ে জেলাআজ দুপুরে জামালপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রাজিব কুমার সরকার ও জেলা ত্রান ও পুর্ণবাসন কর্মকর্তা নায়েব আলী ইসলামপুর উপজেলার বন্য উপদ্রুত এলাকা পরিদর্শন করেছেন।