আর বাশেঁর তৈরি নয়,এবার ইট সিমেন্টে নির্মিত স্থায়ী শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবে ১৮ নং মাদারেরচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। প্রতিষ্ঠার ৮৪ বছর পর এলাকাবাসী ও শিক্ষার্থীদের দীর্ঘদিনের এই স্বপ্নপূরণ করতে সার্বিক সহায়তা করেছেন বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মওলা ও প্রধান শিক্ষক (ভার) আশরাফুল আলম বিপ্লব। গত কয়েকদিন আগেই শহীদ মিনারের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এখন শুধু রঙ্গের কাজ বাকি।
জানাযায়, ১৯৩৫ সালে উপজেলার মেরুরচর ইউনিয়নের মাদারেরচর গ্রামে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্টা করা হয়। প্রতিষ্ঠার প্রায় ৮৪ বছরেও বিদ্যালয়টিতে শহীদ মিনার নির্মিত হয়নি। দীর্ঘদিন পরে হলেও শহীদ মিনার নির্মিত হওয়ায় স্থানীয় এলাকাবাসী ও শিক্ষার্থীরা অনেক খুশি।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) আশরাফুল আলম বিপ্লব বলেন,এই বিদ্যালয় থেকে উপজেলা সদরের দুরত্ব প্রায় ১২ কিলোমিটার। কোমলমতি শিক্ষার্থীদের নিয়ে প্রতিবছরই কষ্ট করে সদরে গিয়ে শহীদ মিনারে ফুল দিতে হয়। অনেক সময় ছাত্র-ছাত্রীরা বাশঁ দিয়ে তৈরি শহীদ মিনার বানিয়েও শ্রদ্ধা নিবেদন করে। তাই বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতির পরামর্শে শহীদ মিনারটি নির্মানের উদ্যোগ নেই। শহীদ মিনারটি নির্মানে সরকারি ভাবে ১৫ হাজার টাকা বিশেষ বরাদ্ধ পেয়েছি। খরচ হয়েছে প্রায় ৫০ হাজার টাকা। তিনি আরো বলেন,আমি একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। তাই নিজের জমানো টাকায় শহীদ মিনার নির্মান করতে পেরে আমি আনন্দিত। এ ছাড়া আমার জানামতে উপজেলায় ১১২ টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে এই প্রথম আমার বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার নির্মিত হলো।
এ ব্যাপারে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা গোলাম মওলা জানান, এবার ইট-সিমেন্টে গড়া স্থায়ী শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাতে পারবো। এ নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে অন্যরকম এক অনুভূতি কাজ করছে। সহযোগীতা করার জন্য শিক্ষা কর্মকর্তা ও ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকসহ সকলকে ধন্যবাদ জানাই।
এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেনীর শিক্ষার্থী মাহফুজ,সজিব,জেমি,দিপ্তী ও মনিরা জানায়, আমরা এখন ২১ ফেব্রুয়ারির অপেক্ষায় আছি। ওই দিন স্যার ও ম্যাডামদের সাথে আমরা সবাই শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করবো। শহীদ মিনার নির্মান করে দেয়ায় বিদ্যালয়ের সভাপতি ও ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষককের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ।
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা অরুনা রায় বলেন, খুদে শিক্ষার্থীরা তাদের নিজ বিদ্যালয়ের শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে ভাষাশহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবে এটা অত্যান্ত আনন্দের।