গত কদিন ধরে অবিরাম বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পানির ঢলে গাইবান্ধার ব্রহ্মপুত্র, যমুনা, ঘাঘট ও তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় জেলার সুন্দরগঞ্জ, ফুলছড়ি, সাঘাটা ও সদর উপজেলার ১৫৪টি গ্রাম বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় জেলার ৪টি স্থানে বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ ভেঙ্গে যাওয়ায় জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। ফলে ওইসব এলাকার বিভিন্ন ফসলী জমি ও রাস্তা-ঘাট তলিয়ে গেছে এবং বন্যা কবলিত এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।
পানি বৃদ্ধির কারণে গতকাল সকালে পানির তোড়ে সদর উপজেলার গিদারী ইউনিয়নের বাগুড়িয়া এলাকায় বাঁধের ১শ মিটার অংশ ভেঙ্গে গেছে। এছাড়াও পরে ফুলছড়ি উপজেলার কাতলামারি, মাঝিপাড়া ও সদর উপজেলার খোলাহাটিতে বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ ভেঙ্গে যায়।
জেলা প্রশাসন সুত্রে জানা গেছে, জেলার চার উপজেলার পানিবন্দী নিরাশ্রয় মানুষের জন্য ৬৩টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। বন্যা দুর্গত এলাকার মানুষের জন্য জরুরী পরিস্থিতি মোকাবেলায় বন্যা কবলিত
ওইসব এলাকায় ২৪০ মে. টন চাল, নগদ ২ লাখ টাকা, ২ হাজার শুকনা খাবারের প্যাকেট বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এদিকে সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় কাপাসিয়া ইউনিয়নে বন্যাদুর্গত ১শ পরিবারের মধ্যে শুকনা খাবার ও বেলকা ইউনিয়নে ১শ পরিবারকে ২০ কেজি করে চাল বিতরণ করা হয়েছে। অপরদিকে সদর উপজেলার কামারজানি ইউনিয়নে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৩শ ৩০টি পরিবারের মধ্যে ২০ কেজি চাল এবং ৩০ পরিবারকে শুকনো খাবার দেয়া হয়েছে। শুকনো খাবারের মধ্যে ছিল মিনিকেট চাল, সোয়াবিন তেল, মসুর ডাল, নুডুস, চিনি ও লবণ ইত্যাদি।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সুত্রে জানা গেছে, সোমবার দুপুর পর্যন্ত ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বিপদসীমার ১১০ সে.মি. তিস্তার ১৬ সে.মি এবং ঘাঘট নদীর পানি ৬৬ সে.মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।