মুন্সিগঞ্জ এর শিমুলিয়া-কাঠালবাড়ি নৌরুটে ফেরী চলাচলে বাড়ছে চরম অচলাবস্থা।এতে করে যে কোন মুহূর্তে বন্ধ হয়ে যেতে পারে এ নৌরুটের সকল প্রকার ফেরী চলাচল। আজ সোমবার নৌরুটে ৫টি ডাম্পু ,৪টি কে টাইপ ও একটি ছোট ফেরী কর্ণফুলী ও একটি মিডিয়াম ফেরী ফরিদপুরসহ মোট ১৭টি ফেরী বর্তমানে সচল থাকলেও তা চলাচলেও ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থা দেখা দিয়েছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানান।পদ্মায় অব্যাহতভাবে পানি হ্রাস,¯্রােতের তীব্রতায় ধেয়ে আসা অসংখ্য পলিতে শিমুলিয়া কাওড়াকান্দি নৌরুটে লৌহজং টানিংএ প্রকট আকারে দেখা দিয়েছে নাব্যতা সঙ্কট।এর আগে রবিবার প্রচন্ড ঝুঁকির মুখে সকাল ৭টা থেকে এ রুটের ৪টি রো রো ফেরী এক ঘন্টা বন্ধ রেখেছে সংশ্লিষ্ট ফেরী কর্তৃপক্ষ। আগের দিন হালকা লোডেও এসব রো রো ফেরীগুলো নৌরুটে চলতে পারছিল না।এদিকে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আজ অপরিকল্পিতভাবে ড্রেজারের পাইপ ফেলে রাখায় ফেরি চলাচলে মারাত্মক বিঘœতার সৃষ্টি হচ্ছে। যেকোন সময় ফেরির সাথে ফেরির সংঘর্ষ ঘটে যানমালের ক্ষয়ক্ষতির শঙ্কা রয়েছে। এতে যেকোন সময় দেশের ২ জেলার গুরুত্বপূর্ণ এই নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ হয়ে যাবার আশঙ্কা করছে। বাংলাদেশ নৌ পরিবহন সংস্থা - (বিআইডব্লিউটিসি)। শিমুলিয়া ঘাটের মেরিন ম্যানেজার শাহজাহান জানান।
নৌরুটে লৌহজং টানিং পয়েন্টে বেশ কিছুদিন ধরে নাব্যতা সংকট চলছে। এতে ফেরি চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে। বিষয়টি বাংলাদেশ অভ্যন্তরিণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষকে (বিআইডব্লিউটিএ) জানালে তারা চ্যানেলের ওই পয়েন্টে নদী খননের জন্য ড্রেজার স্থাপন করে। কিন্তু ড্রেজারের পাইপগুলো নদীতে যেভাবে ভাসমান অবস্থায় স্থাপন করা হয়েছে, তাতে নৌপথ সরু হয়ে।
ফেরি চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে গেছে।এবং ওয়ান ওয়ে দুটি ফেরি একে অপরকে অতিক্রম করতে পারছে না। একটি ফেরি ড্রেজারের পাইপের ওই অংশ পার না হওয়া পর্যন্ত অপরটি যেতে পারছে না। ফলে ফেরি পারাপারে সময় লাগছে বেশী। তাছাড়া পদ্মায় এখন প্রচন্ড ¯্রােতের কারণে চ্যানেলের ওই অংশে ফেরিগুলো ভাসমান অবস্থায় অপেক্ষা করা খুবই কঠিন ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। তিনি আরো বলেন, ¯্রােতের টানে ফেরি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি ফেরি আরেকটির সাথে সংঘর্ষ বেঁধে দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। এতে যানমালের ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। লৌহজং টানিংয়ের ওই অংশে মাঝখানে একটি চর জেগে ওখানে দুটি চ্যানেল বা মুখের সৃষ্টি হয়েছে। এ দুটি মুখ সচল থাকলে ফেরিগুলো দ্বিমুখী ভাবে চলাচল করতে পারলে আর কোন সমস্যা থাকে না। বিষয়টি বিআইডব্লিউটিএ-কে জানানোর পরেও তারা কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছেন না। বিআইডব্লিউটিসি’র মাওয়া ,এজি এম - নাসির মোহাম্মদ চৌধুরী জানান,
,লৌহজং টার্নিংয়ের মুখে সর্বনিম্ন পানির গভীরতা মাত্র সাড়ে ৬ফুট থাকলেও রো রো ফেরীগুলোর সর্বনিম্ন ড্রাফট ৭ফুট প্রয়োজন।তাই এখানে নাব্যতা সঙ্কট প্রকটভাবে দেখা দেওয়ায় রো রো ফেরীগুলো মাঝে মধ্যে বন্ধ রাখতে হচ্ছে।তবে ডাম্ব ও কে টাইপ ফেরীগুলো এখন পর্যন্ত সচল রাখা সম্ভব হলেও এসব ফেরী চলাচলেও ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থা দেখা দিয়েছে এবং
চ্যানেলে অপরিকল্পিতভাবে ড্রেজারে পাইপ রাখায় চ্যানেলটি এখন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। পদ্মার ¯্রােতের সাথে প্রতযোতিায় ফেরিগুলো নদীতে স্থির থাকতে পারছে না। সরুওই জায়গাটি দিয়ে ফেরি চলাচলের সময় ফেরি সাথে ফেরি সংঘর্ষের আশঙ্কা রয়েছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে শিমুলিয়া নৌরুটে বন্ধ হয়ে যেতে পারে ফেরী চলাচল