ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার কামারখালী ইউনিয়নের নাওরাপাড়া গ্রামের দরিদ্র কৃষক আরব আলীর কলেজ পড়-য়া কন্যা রোকসানা পাষান্ড স্বামী পিলখানা হত্যা কান্ডের সাজাপ্রাপ্ত চাকরিচ্যুত বিডিআর জোয়ানের নির্যাতনের শিকার হয়ে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষনে মধুখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মহিলা ওয়ার্ডের বেডের উপর নির্যাতনের ক্ষত আর শরীরের অসহ্য যন্ত্রনা নিয়ে কাতরাছে। যৌতুকের দাবী মেটাতে নাপারায় দরিদ্র কৃষক পিতার কলেজ পড়-য়া কন্যার উপর অমানুষিক নির্যাতন চালিয়েছে তার বি ডি আর সাজা প্রাপ্ত চাকুরীচুত ওই পাশান্ড স্বামী মাহামুদুল্লাহ হাসান । কলেজছাত্রী রোকসানা খাতুন বর্তমানে মধুখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। হাসপাতালে সরোজমিন পরিদর্শনে গেলে দেখা যায়- মধ্যযুগীয় কায়দায় বর্বোরোচিত নির্যাতনের শিকার রোকসানা হাসপাতালের বেডে শুয়ে কাতরাচ্ছে। এ সময় তার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় রডের আঘাতের চিহ্ন দেখে যায়। এ ছাড়া তার স্তন ও শরিরের স্পর্শ কাতর জায়গায় মেরে জখম করে রক্তাক্ত করা হয়েছে।
নির্যাতিত রোকসানা কান্নাজরিত কন্ঠে- জানান-রাজবাড়ি জেলার বালিয়াকান্দী থানার বনগ্রামের শেখ রইছউদ্দিনের ছেলে মাহামুদুল্লাহ হাসানের সাথে আমার বিবাহ হয়। আমাদের সংসার জীবন মাত্র তিন বছর কযেক মাসের। যৌতুকের জন্য বিযের পর থেকেই আমার উপর বিভিন্ন ভাবে শারিরীক ও মানুষিক নির্র্যাতন চালিয়ে আসছে, আমি সন্তানের মা হতে চাইলেও আমার উপর অমানুষিক নির্র্যাতন চালাতে থাকে। রোকসানা আরো বলেন- আমার হাত-পা শিকল দিয়ে বেধে লোহার রড দিয়ে মারপিট করে। কয়েকদিন আগে একই ভাবে আমাকে মেরে বস্তায় ভরতে যায়, প্রতিবেশিরা টের পেয়ে আমার জীবন রক্ষা করে। আমি এই পাশান্ড পশুর বিচার চাই। রোকসানার বাবা আরব আলীর সাথে কথা বললে- তিনি বলেন আমি গরিব কৃষক আমার সাথে প্রতারনা করে, বি ডি আর সদস্য পরিচয় দিয়ে আমার মেয়েকে বিবাহ করে। বিয়ের কয়েকদিন পর আমরা জানতে পারি, এই ছেলের ঘরে আগে একটি বউ রয়েছে। এ সত্তেও আমারা মেনে নিয়েছি। কামারখালী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান লুৎফর রহমান বলেন বিষয়টি অত্যান্ত দুঃখ জনক এবং মর্মান্তিক, মেয়েটির উপর পৈশাচিক নির্যাতন চালানো হয়েছে, মেয়েটিকে বালিয়াকান্দি থেকে অনেক কষ্টে আমরা উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেছি। তিনি বালিয়াকান্দী থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন বলে জানান। মধুখালী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আর এম ও ডাঃ কবির সরদার বলেন মেয়েটির শারিরীক ভাবে ব্যাপক নির্যাতন চালান হয়েছে, মেয়েটি এখনো আশঙ্কা মুক্ত নয় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা নেওয়ার প্রয়োজন হতে পারে। বিষয়টি নিয়ে বালিয়াকান্দী থানার কর্মকর্তা ইনর্চাজ মোঃ আজমল হুদার সাথে কথা বললে তিনি ঘটনা সত্যতা শিকার করে বলেন আমরা অভিযোগ পেয়ে মূল আসামি মাহামুদুল্লা হাসানকে গ্রেফতার করে রাজবাড়ী জেল হাজতে পাঠিয়েছি।