সুনামগঞ্জে চলমান বন্যা পরিস্থিতি বিষয়ে সোমবার সকাল ১১:০০ টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সমন্বয় ও সংস্কার বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সচিব শেখ মুজিবুর রহমান এর সাথে সুনামগঞ্জ জেলার রুটিন দায়িত্বরত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শরীফুল ইসলাম এর ভিডিও কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ভিডিও কনফারেন্সে ভারপ্রাপ্ত সচিব বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় সকলকে একসাথে সমন্বয়ের মাধ্যমে কাজ করার নির্দেশনা প্রদান করেন। ভিডিও কনফারেন্সে জানানো হয় ১৫ জুলাই, সকাল ০৯:০০ ঘটিকায় সুরমা নদীর পানির উচ্চতা ৭.৯৯ মি.। যা বিপদ সীমার ৭৯.০০ সে.মি. উপরে। গত পাঁচদিনে সুরমা নদীর পানির উচ্চতা ১৯.০০ সেমি কমলেও ওই পানি নদীর সাথে সংযুক্ত খাল বিলের মাধ্যমে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। ইতোমধ্যে বন্যায় এ জেলার ২ লক্ষ ৬০ হাজার হেক্টর আবাদি জমি প্লাবিত হয়েছে; যার ফলে ১ লক্ষ ৪ হাজার লোক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। বন্যায় ১ হাজার ২শ ৬৩ হেক্টর আউস, ১শ ২৫ হেক্টর আমন বীজতলা এবং ৪ কোটি ৬০ লক্ষ ৬১ হাজার ২ শত টাকার মৎস্য সম্পদ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। বিভিন্ন উপজেলায় ৮টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। বন্যায় পরিস্থিতি মোকাবেলায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে হতে প্রাপ্ত বরাদ্দ থেকে ৬৮৫ মে.টন জিআর চাল, ৯ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা এবং ৮ হাজার ৪ শত শুকনা খাবার প্যাকেট/কার্টুন উপজেলা পর্যায়ে উপ-বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। যা উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে স্থানীয় সংসদ সদস্যগণের পরামর্শে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ, স্বেচ্ছাসেবী সাধারণ জনগন সকলকে নিয়ে একযোগে সুষ্ঠু সমন্বয়ের মাধ্যমে বিতরণ করা হচ্ছে। বতর্মানে জেলায় ১১৫মে.টন জিআর চাল, নগদ ৩ লক্ষ ২০ হাজার টাকার জিআর ক্যাশ, ৬ শত কাটুন/প্যাকেট শুকনা খাবার ও ২ শত তাবুর সরঞ্জামাদি মজুদ রয়েছে।
ভিডিও কনফারেন্সে সুনামগঞ্জ পৌরসভার মেয়র নাদের বখত, সিভিল সার্জন ডাঃ আশুতোষ দাশ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মোঃ হারুন অর রশীদ, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মোকলেছুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) আবু তারেক, নির্বাহী প্রকৌশলী গণপূর্ত আবিল আয়াম, নির্বাহী প্রকৌশলী এলজিইডি ইকবাল হোসেন, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী পওর-১ আবু বকর সিদ্দিক ভূইয়া, নির্বাহী প্রকৌশলী পওর-২ খুশি মোহন সরকার, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আবুল কাশেম, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ আমিনুল হক, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ জিল্লুর রহমান, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা ফরিদুল হক সহ জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।