সিরাজদিখানে ইসমাইল মোল্লার গুলিতে ঠিকাদার ওবায়দুল (৩২) এর মৃত্যু হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার রাত ৮ টার দিকে উপজেলার ইছাপুরা ইউনিয়নের মধ্যম শিয়ালদী গ্রামে। এ ঘটনায় পুলিশ ৪ জন এলাকাবাসী ও ৪ জন শ্রমিককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় এনেছেন এবং ১ ইসমাইলের স্ত্রী বেবি আক্তারকে আটক করেছেন। ইসমাইল মোল্লা রাতেই পালিয়েছে। অস্ত্র উদ্ধার ও আসামীকে গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে। মৃত ওবায়দুল কুড়িগ্রাম জেলার চিলমারি উপজেলার বজ্্রাদিয়ারখাতা গ্রামের মৃত মুনসার আলীর ছেলে।
এলাকাবাসী ও বিশেষ সূত্রে জানাযায়, সন্ধ্যায় ইসমাইল মোল্লা ঠিকাদার ওবায়দুলকে বাড়ির ভেতর থেকে রাস্তায় নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে ওবায়দুলকে গুলি করে ইসমাইল। ওবায়দুলের গলায় গুলি লাগে। ঢাকা মেডিকেলে নেওয়ার পথে সে মারা যায়। কি কারণে গুলি করা হলো তা এখনো জানা যায়নি। ঠিকাদার ওবায়দুল প্রায় ৬ মাস ধরে শিয়ালদী মোল্লাবাড়ী (কশিনার শামিম মোল্লার গ্রামের বাড়ি) ইমারত নির্মাণ কাজ করে আসছে। সোমবার সকালে কমিশনার শামিম মোল্লা গ্রামের বাড়ি এসে ছিলেন, তিনি বিকালে ঘুমিয়ে ছিলেন তখন পিস্তলটি ইসমাইল মোল্লা নিয়ে যায় এবং সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে বলে স্থানীয়রা জানান।
মুন্সীগঞ্জ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, শামিম হাসান মোল্লা তেজগাঁও থানা ২৬ নং ওয়ার্ড কমিশনার, তার গ্রামের বাড়ি শিয়ালদীতে রাজ মিস্ত্রি ওবায়দুল কে গুলি করে তারই ভাতিজা ইসমাইল হোসেন মোল্লা। তবে পিস্তল টি কার সেটা জানা যায় নাই এবং পিস্তল উদ্ধার হয় নাই। আসামীকে আটকের জোর চেষ্টা চলছে। ওবায়দুলের স্বজনরা আসতেছে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ইসমাইল এর স্ত্রী বেবি আক্তারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। ইসমাইলকে গ্রেফতার ও পিস্তল উদ্ধারের পর ব্লাস্টার টেষ্ট এরপর বিস্তারিত বলা যাবে। লাশ ময়না তদন্তের পর ঢাকা মেডিকেলে রয়েছে।