গাইবান্ধার ব্রহ্মপুত্র ঘাঘটসহ সবগুলো নদ- নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় জেলার বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হয়েছে। ঘাঘট নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় গাইবান্ধা পৌর এলাকার ১,৭,৮ ও ৯নং ওয়াডের অধিকাংশ এলাকায় পানি প্রবেশ করেছে। ঘর-বাড়ী ও রাস্তা-ঘাট তলিয়ে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।
গত ২৪ ঘন্টায় ব্রহ্মপুত্রের পানি বেড়ে গাইবান্ধার ফুলছড়ি পয়েন্টে বিপদসীমার ১২৮ সেন্টিমিটার ও ঘাঘট নদীর পানি গাইবান্ধা শহর পয়েন্টে ৮৭ সেন্টিমিটার ও তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমার ০৬ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
প্রবল পানির তোড়ে গতকাল ব্রক্ষপুত্র ও ঘাঘট নদী রক্ষা বাধের ৫টি পয়েন্ট ধব্বসে যাওয়ায় নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়ে পড়ছে। নদীর বাধে খোলা আকাশের নিচে খেয়ে না খেয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে বানভাসী মানুষ। পৌছায়নি পর্যাপ্ত ত্রান। দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানি ও বাধরুমের সংকট।
সরকারি হিসাবে জেলার সুন্দরগঞ্জ, ফুলছড়ি, সাঘাটা ও সদর উপজেলার ২৬টি ইউনিয়নের ২১৩টি গ্রামের ২ লক্ষ ৫৪ হাজার ৬৬ জন মানুষ পানি বন্দি হয়ে পড়েছে। খোলা হয়েছে ১১৪ টি আশ্রয় কেন্দ্রে।
ছবির ক্যাপশনঃ- বন্যার পানি প্রবেশ করেছে গাইবান্ধা পৌরসভার অধিকাংশ এলাকায়। ছবিটি গতকাল তোলা হয়েছে গাইবান্ধা পৌর এলাকার ১নং ওয়াডের ব্রীজরোড কালিবাড়ী এলাকায়।