ফরিদপুরের চরভদ্রাসন সদর ইউনিয়নের ছবুল্ল্যা শিকদার ডাঙ্গী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি পদ্মা নদীর ভাঙনে হুমকীর মধ্যে পড়েছে। মঙ্গলবার ভোররাতে তীব্র ভাঙনে স্কুলটি থেকে মাত্র একশো মিটার উত্তর দিকের দুরত্বে অবস্থান করছে পদ্মা নদী। এতে ভাঙন কবলিত পদ্মা পারে বিদ্যালয়টি চরম হুমকীর মধ্যে রয়েছে। এ ছাড়া উপজেলা সদরের বালিয়া ডাঙ্গী গ্রাম ও ফাজেলখার ডাঙ্গী গ্রামের বেড়িবাঁধ সড়কগুলো পদ্মা পারমুখী পানির চাপে হুমকীতে রয়েছে। খবর পেয়ে মঙ্গলবার ১১ টায় ফরিদপুর পাউবো’র নির্বাহী প্রকৌশলী সুলতান মাহমুদ, উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ মোশারফ হোসেন মুসা ও ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আজাদ খান ভাঙন কবলিত পদ্মা পার এলাকা পরিদর্শন করেছেন।
এ ব্যাপারে ফরিদপুর পাউবো’র নির্বাহী প্রকৌশলী সুলতান মাহমুদ জানান, “ স্কুলটি রক্ষার জন্য আমরা দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহন করেছি। আপাতত পদ্মা নদীর স্কুল পয়েন্টে বালুভর্তি জিও ব্যাগ ডাম্পিং করে ভাঙন প্রতিরোধ করা হচ্ছে এবং পরবর্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে”। আর উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ মোশারফ হোসেন মুসা বলেন, “ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের উদ্যোগে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে জরুরী মিটিং চলছে। ভাঙন রোধে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে”। ওই বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক মোঃ শহিদুল ইসলাম জানান, “ ভাঙনে ফসলী জমি বিলীন করে গত বছরই পদ্মা নদী স্কুলের কাছাকাছি অবস্থান করছিল। কিন্তু গত রাতের ভাঙনে পদ্মা নদী স্কুলের সন্নিকটে এসে গেছে। স্কুলটি রক্ষা করা না গেলে চরাঞ্চলের শিক্ষা ব্যবস্থা ভেঙে পরবে বলেও তিনি জানান”।
জানা যায়, উপজেলা পদ্মা নদীর ছবুল্ল্যা শিকদার ডাঙ্গী গ্রামের ওই স্কুল পয়েন্টে গত দু’তিন দিন ধরে ধীর গতিতে ভাঙন চলছিল। কিন্তু মঙ্গলবার ভোররাতে ভাঙনের মাত্রা তীব্রতর হয়ে ওঠে। এতে ওই গ্রামের প্রায় তিন একর আউশ ধানী জমি বিলীন করে পদ্মা নদী স্কুলটির কাছে অবস্থান করছে।
একই দিন চরভদ্রাসন ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আজাদ খান জানান, “ ভারী বর্ষন ও বাড়তি পানির চাপে উপজেলা সদরের বালিয়া ডাঙ্গী গ্রাম ও ফাজেলখার ডাঙ্গী গ্রামের প্রায় তিন কি.মি. বেড়িবাঁধ সড়কের বিভিন্ন স্পটে ইটের রাস্তা ধ্বসে গেছে এবং রাস্তার কোনো কোনো অংশ দেবে রয়েছে। এতে উপজেলা সদরের বেড়িবাঁধ গুলোও চরম হুমকীর মধ্যে রয়েছে”।