‘মাছ চাষে গড়বো দেশ বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ১৭ জুলাই থেকে ২৩ জুলাই জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ শুরু হয়েছে। এ উপলক্ষ্যে মৎস্য সেক্টরে সরকারের অগ্রগতি নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে সিরাজদিখান উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তার দপ্তর। গতকাল বুধবার দুপুরে মৎস্য কর্মকর্তার কক্ষে মৎস্য সেক্টরের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা সাইফুর রহমান এবং সহযোগিতায় ছিলেন সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা যুধিষ্ঠির রঞ্জন পাল।
মৎস্য খাতে ২০১৮-২০১৯ সালে ৭৩.১৭১ মো.টন মাছ রপ্তানী করে দেশে আয় এসেছে ৪২৫০ কোটি টাকা। এ খাতে দেশের জিডিপি ৩.৫৭। বিশে^ অভ্যন্তরীন মুক্ত জলাশয়ে মাছ আহরণে ৩য় স্থানে রয়েছে। বদ্ধ জলাশয়ে চাষকৃত মাছ উৎপাদনে বিশে^ ৫ম। দেশের ১১% জনগণ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে এ সেক্টরে জরিত। বর্তমানে মাথাপিছু মাছ গ্রহনের পরিমান ৬২.৫৮। এসডিজি বাস্তবায়নে এর চ্যালেঞ্জ মান সম্মত মাছ উৎপাদন ও রপ্তানী। তাই আমাদের আরো সচেতন হতে হবে। মাছ চাষে মৎস্য অফিসের পরামর্শ, মাছকে ভাল খাদ্য দেওয়া উচিৎ। পুকুর-খাল বা জলাশয় সেঁচে মাছ ধরা অথবা মাছ ধরার আগে পুকুরে বা খামারে কেমিক্যাল বা ওষুধ দিয়ে ধরা যাবে না। বর্তমান সরকারের উন্নয়ন দর্শন “আমার গ্রাম আমার শহর”। সবাই সচেতন না হলে এ উন্নয়ন বাঁধাপ্রাপ্ত হবে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও আহ্বায়ক কমিটির সদস্য কাজী নজরুল ইসলাম বাবুল, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও আহ্বায়ক কমিটির সদস্য জাবেদুর রহমান জুবায়ের, সাবেক প্রচার সম্পাদক নাছির উদ্দিন, সাবেক দপ্তর সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মাসুদ, সদস্য আসলাম মোল্লা, ইসমাইল খন্দকার, জাহাঙ্গীর আলম চমক, আজাদ বিন আজম নাদভী, আরিফ হোসেন হারিছ, মো. মিজানুর রহমান প্রমুখ।