ফরিদপুরের নগরকান্দায় নিখোঁজের ১৬ দিন পর হত্যাকারীর দেখানো স্থান থেকে প্রতিবন্ধি শিশুর গলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার পুরাপাড়া খালের পানির কচুরীপানা নীচ থেকে শিশু আবু বক্করের লাশ উদ্ধার করা হয়।
আবু বক্কর (৭) পুরাপাড়া ইউনিয়নের মেহেরদিয়া গ্রামের পাঁচু খলিফার ছোট ছেলে। সে মেহেরদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেনীর ছাত্র ছিল। গত ১ জুলাই বিকালে সে নিখোঁজ হয়।
বুধবার ভোরে নিহত শিশু আবু বক্করের আপন চাচাতো ভাই একই গ্রামের মৃত টুকু খলিফার ছেলে কলেজ ছাত্র শাওন হোসেন দিনদারকে পুলিশ আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদ করে। এ সময় শাওন আবু বক্করকে হত্যার কথা স্বীকার করে। পরে বুধবার দুপুরে শাওন এর দেখানো স্থান পুরাপাড়া খালের কচুরীপানার নিচ থেকে গলিত অবস্থায় আবু বক্করের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
শিশুটির পিতা পাচু খলিফা বলেন, ১ জুলাই সন্ধ্যার আগে আবু বকরকে বাড়ীর উদ্দেশ্যে প্রতিবেশী মাহবুলের অটো ভ্যানে করে পাঠিয়ে দেই। পরে জানতে পারি আবু বকর বাড়ী যায়নি। অনেক খোঁজাখুঁজি করে পাওয়া যায়নি। আমার মোবাইল ঝেলের নিকট ছিলো সেই মোবাইল দিয়ে আমাকে ফোন করে বলে ওকে ফিরে পেতে হলে তিন লাখ টাকা নিয়ে মাওয়া ঘাটে যাইতে। সেকানে গিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ওসি (তদন্ত) মিরাজ হোসেন বলেন, যে মোবাইল নম্বর দিয়ে ফোন করে মুক্তিপন চেয়েছিল সেই ফোন টেকিং করে আমরা আসামি শাওনকে আটক করি। শাওনের স্বীকারোক্তি মুলক এবং শাওনের দেখানো স্থান থেকে শিশুটির গলিত লাশ উদ্ধার করি।
নগরকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মিজানুর রহমান জানান, আবু বক্করকে হত্যার পর তার কাছে থাকা একটি মোবাইল ফোনের সিমকার্ড দিয়ে হত্যকারী শাওন ৩ লাখ টাকা মুক্তিপন দাবি করে। এরই সূত্র ধরে শাওনকে আটক করা হয়। নিখোঁজের পর আবু বক্করের পিতা বাদি হয়ে দায়ের করা মামলাটি এখন হত্যা মামলা হিসেবে অর্ন্তভূক্ত হবে বলে জানান তিনি।