ফরিদপুরে নির্দিষ্ট সময়ে সম্পত্তির বিবরণ না দেওয়ায় দুদকের দায়ের করা মামলায় এক পুলিশ কর্মকর্তা কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
বুধবার বিকেলে ওই পুলিশ কর্মকর্তা ফরিদপুরের জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন জানালে আদালতের বিচারক মো. সেলিম মিয়া সে আবেদন নাকচ করে দিয়ে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
ওই পুলিশ কর্মকর্তার নাম এস এম বদরুল আলম। তিনি গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার ধানকোড়া গ্রামের বাসিন্দা। এস এম বদরুল আলম বর্তমানে গাজীপুর জেলার হাইওয়ে পুলিশের এ এসপি হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।
২০০৯ সালে এস এম বদরুল আলম যশোরের ঝিকরগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ওই বছর ৪ মে তার সম্পত্তির হিসাব চেয়ে সাত দিনের মধ্যে তা দুদকে জমা দিতে বলা হয়। এস এম বদরুল আলম দুদকের নোটিশের ওই চিঠিটি ৫ মে গ্রহণ করেন। সে হিসেবে ১৪ মে’র মধ্যে তার সম্পত্তির হিসেব দেওয়ার কথা ছিল দুদকে।
আদালত সুত্রে জানা যায়, এস এম বদরুল আলম নির্দিষ্ট সময়ে সমপ্তির হিসেব না দেওয়ায় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সম্বন্বিত ফরিদপুর জেলা কার্যালয়ের সহকারি পরিচালক মো. আবুল হোসেন বাদী হয়ে ২০০৯ সালের ৮ সেপ্টম্বর দুদকের নোটিশ অমান্য করার অভিযোগে (২০০৪ (২৯)২ ধারায়) এস এম বদরুল আলমকে আসামি করে একটি মামলাদায়ের করেন ফরিদপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতে।
ওই মামলা দায়েরের পর এস এম বদরুল আলম হাইকোর্ট থেকে অন্তবর্তিকালীন জামিন নেন। হাইকোর্ট একটি বেঞ্চ গত ২০১৪ সালের ১৬ জুন এ ব্যাপারে একটি রুল নিশি জারি করে রুল নিস্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত বদরুল আলমের বিরুদ্ধে দায়ের করা দুদকের মামলার কার্যক্রম স্থগিত ঘোষণা করেন। গত ২০১৬ সালের ২৬ জুলাই হাইকোর্ট বদরুল আলমের দায়েরকরা রুলটি খারিজ করে দেন। জেলা দুদকের আইনজীবী নারায়ন চন্দ্র দাস জানান, হাইকোর্ট রুলনিশি খারিজ করে দিলেও বদরুল আলম সে সত্য গোপন রাখেন। অতপর গতকাল বুধবার তিনি ফরিদপুরের জেলা ও দায়রা জজ আদালতে এসে আত্মসমর্পণ করে জামিন প্রার্থনা করেন। তবে আদালত জামিনের আবেদন খারিজ করে দিয়ে তাকে কারাগারে প্রেরনের আদেশ দেন।
জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পেশকার মো. আওলাদ হোসেন বলেন, বদরুল আলমের বিরুদ্ধে দুদকের মামলার কার্যক্রম এখন থেকে স্বাভাবিক নিয়মে পরিচালিত হবে।