গত ২৪ ঘন্টায় গাইবান্ধার ব্রহ্মপুত্র ঘাঘটসহ সবগুলো নদ- নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হয়েছে। গাইবান্ধার ত্রিমোহনী রেলস্টেশন এলাকায় রেল পথ পানিতে ডুবে যাওয়ায় তৃতীয় দিনের মত লালমনিরহাট- শান্তাহার রুটে সকল ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। গাইবান্ধা- ফুলছড়ি- সাঘাটা ও সুন্দরগঞ্জ সড়কের বিভিন্ন অংশ ভেঙ্গে যাওয়ায় জেলা শহরের সাথে ফুলছড়ি, সাঘাটা ও সুন্দরগঞ্জ উপজেলার সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। ঘাঘট নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় গাইবান্ধা পৌর এলাকার অধিকাংশ এলাকায় পানি প্রবেশ করেছে। ঘর-বাড়ী ও রাস্তা-ঘাট তলিয়ে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।
গাইবান্ধা পৌর এলাকার ২টি বাজারে বন্যার পানি প্রবেশ করায় নিত্য প্রয়োজনীয় পন্য কেনা-কাটায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন শহরের মানুষ।
বন্যা কবলিত এলাকায় খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানির সংকট দেখা দিয়েছে। সেই সাথে দেখা দিয়েছে পানি বাহিত রোগ সমুহ। পানি বৃদ্ধির ফলে যারা আশ্রয় কেন্দ্রে যেতে পারছেন না, তাদের অনেকেই নিজের বাসস্থান ছেড়ে অন্যত্র ভাড়া কিংবা আত্মীয়স্বজনের বাসায় আশ্রয় নিচ্ছেন। তবে সব চেয়ে সমস্যায় পড়েছেন গবাদি পশু ও হাস-মুরগীর পালনকারীরা।
গতকাল ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বিপদ সীমার ১৫০ সে: মি: ঘাঘট নদীর পানি বিপদ সীমার ৯৪ সে: মি: উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।
ছবির ক্যাপশনঃ-(১)গাইবান্ধা শহরে বন্যার পানি প্রবেশ করে অধিকাংশ এলাকা প্লাবিত হয়ে পড়েছে। ছবিটি গতকাল শহরের জিরো পয়েন্ট কাচারি বাজার এলাকা থেকে তোলা।
ছবির ক্যাপশনঃ-(২) গাইবান্ধার ত্রিমোহনী রেল ষ্টেশনে এলাকায় রেলপথ বন্যার পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় লালমনি- শান্তাহার রুটে সকল ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে।