জামালপুর প্রবল বন্যায় ১০১২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেরণ কেজি ওয়ান থেকে শুরু করে ডিগ্রী পর্যন্ত বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়-য়া প্রায় ১লাখ ৫০হাজার শিক্ষার্থীর পড়ালেখা অনিশ্চিত হয়ে পডেছে। জেলা প্রাথমিক ও জেলা মাধ্যমিক উচ্চ শিক্ষা অফিস সুত্রে জানাযায়,জামালপুর জেলায় নার্সারী-কেজি ওয়ান থেকে ৫ম শ্রেনী পর্যন্ত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা মোট ১হাজার ১শ ৫৯টি। তার মধ্যে গত ১৮জুলাই বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বন্যা প্লাবিত হয়ে বন্ধ রয়েছে ৭০২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংথ্যা মোট ৬৬৯টি। তার মধ্যে বন্ধ রয়েছে ৩১০টি। সর্বমোট ১০১২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্যার কারণে বন্ধ থাকায় এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে প্রাথমিক ৭০২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষাথীর সংখ্যা প্রায় ১লাখ ১০ হাজার শিক্ষার্থী এবং মাধ্যমিক স্তরের ৩১০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীর সংখ্যা গড়ে প্রায় ৪০ হাজার। সর্বমোট গড়ে প্রায় ১লাখ ৫০হাজার শিক্ষার্থীর পড়ালেখা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শহিদুল ইসলাম। এ বিষয়ে ইসলামপুর বলিয়াদহ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেনীর শিক্ষার্থী আবদুল খালেক, ৪র্থ শ্রেনীর শিক্ষার্থী রহিমাবেগম এবং ৫ম শ্রেনীর শিক্ষার্থী সোহেল রানা বলেন,আমাদের প্রতিটি বাড়ীতে বন্যার পানি তাই স্কুলে এসে পড়ালেখার পাশাপাশি শুকনো যায়গায় থাকতে পারতাম। হঠাৎ বাঁধ ভেঙ্গে আমাদের স্কুলে পানি উঠে গেল। তাই স্যারেরা আমাদের স্কুল বন্ধ দিয়ে দিছে। এখন থ্যাইক্যা আংগরে বাড়ি ঘরের মাছায় উঠে বসে বসে দিন কাটাতে হবে। এসব কথা বলেন।