জামালপুরের মেলান্দহে ক্রমেই বন্যা পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে। গেল ২৪ ঘন্টায় বন্যাকবলিত দুরমুঠ ইউনিয়নের চরহাতিজা গ্রামের অর্ধ শতাধিক ঘর ব্রহ্মপুত্র নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে। মাহমুদপুর, হাজরাবাড়ি, বেলতৈল, ঝাউগড়া, নাংলা, দুটি পৌরসভাসহ সদরের সড়কগুলোর উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হওয়ায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে। জেলা সদরসহ পাশের উপজেলার সড়কের উপর দিয়েও পানি প্রবাহিত হচ্ছে।
দুরমুঠ, টনকি ও কাঙ্গালকুর্শা এলাকায় রেললাইল তলিয়েছে। ফলে রেল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন আছে। ১১টি ইউনিয়ন এবং দু’টি পৌরসভা পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। বন্যাকবলিতরা একদিকে খাদ্য-পানীয় সংকটে মানবেতর জীবন যাপন করছে। অপরদিকে নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য উচু রাস্তা-ব্রিজ-শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং রেলস্টেশনে আশ্রয় নিয়েছে। ত্রাণ তৎপরতা নেই।
ইউএনও তামিম আল ইয়ামীন জানান-নদীভাঙ্গন ও বানভাসিদের মাঝে কিছু ত্রাণও বিতরণ করা হচ্ছে। এ যাবৎ লক্ষাধিক টাকা এবং ৬৫ মে: টন চাল বরাদ্দ পাওয়া গেছে। বানভাসিদের জন্য নাংলা গ্রামের ব্যবসায়ী আবুল হাশেম এবং রোকনাই গ্রামের লাল মিয়া মেম্বার নিজ দায়িত্বে লঙ্গর খানা চালু করেছেন।