নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলার ৭টি ইউনিয়ন ও পৌরসভার জনসাধারনের মাঝে ছেলে ধরা গুজব আতঙ্কে কান না দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন উপজেলা প্রশাসন ও আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ।
জেলা আওয়ামী লীগ নেত্রী ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জান্নাতুল ফেরদৌস আরা ঝুমা তালুকদার উপজেলাবাসীকে কোনরকম গুজবে ভয় না পাওয়ার দাবি জানিয়ে তিনি বলেন ছেলে ধরা গলা কাঁটা লোক বাচ্চাদের মাথা কেটে নিয়ে যাবে এমন তথ্য সম্পুর্ণ প্রশ্নবিদ্ধ আওয়াজ। কোনরকম বাজে গুজব মন্ত্রে কান না দেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে তিনি আরো বলেন উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঐসব গুজবে কোন উস্কানীদাতা ব্যক্তি জড়িত থাকলে তাদের বিরুদ্ধে কঠিনতর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারজানা খানম গুজব আতংকের ভিত্তিকে উড়িয়ে দিয়ে উপজেলাবাসীর উদ্দেশ্যে তিনি বলেন ছেলে ধরা,গলা কাঁটা এসব গুজব সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন,বানোয়াট। সকল শ্রেণি পেশার পিতা-মাতা আত্বীয়-স্বজনদের মাঝে এক ধরণের ভয় জড়িয়ে দেবার জন্যে এমন কানাঘুষা খোশগল্প চাউর হচ্ছে যার কোনরকম সত্যতা নেই। এরকম ভিত্তিহীন গল্প,বানোয়াট কাহিনীতে কান না দেবার অনুরোধ জানিয়েছেন। দুর্গাপুর থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ(অতিঃ দায়িত্ব) মীর মাহবুবুর রহমান উপজেলাবাসীর সকলের উদ্দেশ্যে তিনি জোরদাবী জানিয়ে বলেন আপনারা কোন রকম গুজবে কান দিবেন না। আমরা আপনাদের সেবায়,আপনাদের নিরাপত্তায় সদা-সর্বদা সজাগ আছি। গত ২/৩দিনে উপজেলার যেকয়টি ছেলে ধরা সন্দেহে অভিযোগ উঠেছে তার কোনটির বিন্দুমাত্র ভিত্তি নেই। ঘটনা ঘটেছে একরকম আওয়াজ হচ্ছে অন্য রকম। ভিন্ন রকম আওয়াজে আপনারা কেউ কান দিবেন না। এ ব্যাপারে উপজেলার সর্বস্থরের লোকজনকে সতর্ক করবার জন্যে মসজিদ,মন্দিরে জনসমাগম স্থানে,হাটে-বাজারে,ঘাটে বিশেষভাবে ব্রিফিং করা হচ্ছে।এ গুজবটি একটি ভিত্তিহীন আওয়াজের অংশ মাত্র। আর কেউ যদি অযথা এরকম অপপ্রচারের সাথে লিপ্ত থাকে উপযুক্ত প্রমাণ সাপেক্ষে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। উপজেলা আওয়ামীগের সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদুর রহমান সাজ্জাদ এক প্রশ্নের জবাবে বলেন,আমরা দলীয়ভাবে ওয়ার্ড থেকে শুরু করে উপজেলার সর্বস্থরের নেতাকর্মীদের নির্দেশনা দিয়েছি কোন রকম গুজবে কান না দেওয়ার জন্য। একটি অতি উৎসাহী মহল সমাজের নিরাপদ,শান্তিপ্রিয় মানুষদের মাঝে ভীতি ছড়ানোর জন্যে উঠেপড়ে লেগে আছে,ঐ গুজবের কাহিনি ঐ বিশেষ মহলের একটি পায়তারা মাত্র। এধরণের ঘটনা কোথাও ঘটেনি যেসব আওয়াজ হচ্ছে তা মূলত ছেলে ধরা বা গলা কাটার সাথে কোন সম্পর্ক নেই।