ঝালকাঠীর রাজাপুর উপজেলার পূর্ব কানুদাসকাঠী প্রতিবন্ধি বিদ্যলয়ের নামে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
রাজাপুর উজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি জুলফিকার হাওলাদার এক লিখিত অভিযোগে জানান, পূর্ব কানুদাসকাঠী প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ে কাগজপত্রে শিক্ষার্থী থাকলেও প্রকৃতপক্ষে ওই বিদ্যালয়ে কোন ছাত্র-ছাত্রী নেই। শ্রেণী বিন্যাস নেই, পাঠদানের কোন পরিবেশ নেই, কোন শিক্ষার্থী বিদ্যালয়ে আসেনা। এ ছাড়া বিদ্যালয়ের নামেও কোন জমিও নেই। সরকারি নিয়মনীতি উপেক্ষা করে একটি ভাঙাচোরা পরিত্যক্ত ঘর দেখিয়ে শিক্ষক-কর্মচারীরা বিদ্যালয়ে নিয়মিত না এসে প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের নামে বরাদ্দকৃত সরকারি অনুদান তুলে নিচ্ছেন।
এলকাবাসীর অভিযোগ, যখন বিদ্যালয়ের নামে সরকারি অনুদান আসে তখন শিক্ষক কর্মচারী বিদ্যালয় আসেন অন্য সময় তারা বিদ্যালয়ে আসেন না।
জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশন এর হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা মো.রেজাউল কবির ২০১৯ সালে ১৫ জানুয়ারি বেসরকারি এ বিদ্যালয়টি পরিদর্শনে এসে এসব অভিযোগের সত্যতা পান এবং হতাশ হয়ে ফিয়ে যান এবং পরবর্তীতে বিদ্যালয়টির প্রকৃত চিত্র তুলে ধরে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষে নিকট একটি রিপোর্ট প্রদান করেন। সমাজ কল্যাণ মন্ত্রনালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশন ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহমুদা মিন আরা তার প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন প্রতিবন্ধী ছাত্র ছাত্রীদের নাম ভাঙিয়ে ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষক কর্মচারীকে ধোঁকা দিচেছন। নিতীমালা অনুযায়ী বেতন-ভাতা চালুর তিন বৎসরের মধ্যে শিক্ষকগণ প্রয়োজনীয় শিক্ষাগত যোগ্যতা অর্জনের শর্ত থাকলেও শিক্ষকবৃন্দ তা অর্জনে ব্যর্থ হয়েছে।