গাইবান্ধায় ঘাঘট ও ব্রহ্মপুত্রের পানি কমতে শুরু করেছে তবে বাড়তে শুরু করেছে করতোয়ার নদীর পানি। ব্রহ্মপুত্রের পানি বিপদসীমার ১১৫ সেন্টিমিটার ও ঘাঘট নদীর পানি ৬৪ সেন্টিমিটার এবং করতোয়ার পানি ২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
ঘাঘট ও ব্রহ্মপুত্রের পানি কমতে শুরু করায় জেলার ৪ উপজেলার বন্যা পরিস্থিতির সার্বিক উন্নতি হয়েছে। রাস্তা ঘাট, হাট বাজার ও ঘর বাড়ী থেকে পানি নেমে যাওয়ার সাথে সাথে পরিবেশ বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। এসব এলাকায় র্দূগন্ধ ও নানা আবর্জনা ও পশুপাখি, কেঁচোর গলিত দেহে পানি পচে নষ্ট হয়ে গেছে। ফলে দেখা দিচ্ছে বিভিন্ন পানি বাহিত ও চর্ম রোগ। এসব এলাকায় দ্রুত পরিচ্ছন্নতা অভিযান পরিচালনা করার দাবী জানিয়েছেন ভুক্ত ভোগীরা।
অপর দিকে বিভিন্ন এলাকায় ভাঙ্গা বাঁধ দিয়ে পানি প্রবেশ করে নতুন করে প্লাবিত হয়েছে পলাশবাড়ি, সাদুল্লাপুর ও গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার বেশকিছু এলাকা। ডুবে গেছে এলাকার রাস্তাঘাট ও হাট-বাজার। এক সপ্তাহের ব্যবধানে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে জেলার কয়েক লাখ মানুষ। আশ্রয় কেন্দ্র, নদীর বাধে ও খোলা আকাশের নিচে খেয়ে না খেয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে বানভাসী মানুষ। দূর্গত এলাকাগুলোতে পৌছায়নি পর্যাপ্ত ত্রান।
জেলা প্রশাসনের তথ্যানুযায়ী গাইবান্ধা সদর, সুন্দরগঞ্জ, ফুলছড়ি, সাঘাটা ও সাদুল্যাপুর উপজেলার ৩৭টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভাসহ ২৫৩টি গ্রামের ১ লাখ ৪ হাজার ৩৪০টি পরিবারের অন্তত ৪ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ঘরবাড়ী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৩৯ হাজার ১৪২টি। বন্যা কবলিত মানুষের জন্য ১৬৬টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এতে আশ্রয় নিয়েছে ৭১ হাজার ২৪ জন। বন্যার পানিতে ডুবে গিয়ে কাঁচা রাস্তা ৫১৭ কি.মি. পাকা রাস্তা ১৮৭ কি.মি., ১৮টি কালবাঠ ও ৫৭.৫০ কি.মি বাঁধ ক্ষতি গ্রস্ত হয়েছে। বন্যার পানিতে নিমজ্জিত মহয়েছে ৯ হাজার ৮২১ হেক্টর ফসলী জমি। এছাড়াও ২ হাজার ৯৪১টি পুকুরের মাছ ভেসে গেছে। পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে ২ হাজার ৬৪০ টি টিউবওয়েল। বন্যা কবলিত এলাকায় কাজ করছে ৭৫টি মেডিকেল টিম।