নেত্রকোণার কলমাকান্দা উপজেলায় ‘ছেলেধরা’ সন্দেহে ভবঘুরে এক মহিলাকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করছে স্থানীয়রা।
ওই মহিলার গ্রামের বাড়ী হচ্ছে কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার মালাখোলা গ্রামের মোহাম্মদ আলীর স্ত্রী ও রাজধানীর উত্তর বাসবো এলাকায় বাস করেন বলে জানায় ভবঘুরে মহিলা মাহফুজা বেগম (৫০)। তবে কলমাকান্দা থানা পুলিশ তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী মহিলার পরিচয় সনাক্ত করতে পারেনি।
কলমাকান্দা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ আশেক উল্লাহ খান জানান ছেলে ধরা সন্দেহ করে ৫০ উদ্ধে এ ভবঘুরে মহিলাকে পিটিয়ে আহত করে স্থানীয়রা। পরে থানা পুলিশ উদ্ধার করে এনে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। তার চোখ মুখ মন্ডলে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়। প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। তবে তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে তিনি মানসিক ভারসাম্যহীনতায় ভুগছেন।
গত শুক্রবার (১৯ জুলাই) রাতে উপজেলার খারনৈ ইউনিয়নের বাউশাম বাজারে এ ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ গিয়ে ভবঘুরে ওই মহিলাকে উদ্ধার করে কলমাকান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
পুলিশ সুত্রে জানা যায় ছেলেধরা ভেবে চিৎকার শুরু করলে আশপাশের লোকজন ছুটে আসে এবং ভবঘুরে মহিলাকে মারধর করে। এ দিকে খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে মহিলাকে কে উদ্ধার করে কলমাকান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে পুলিশ।
এ ব্যাপারে কলমাকান্দা থানার ওসি মো. মাজহারুল করিম স্থানীয় সাংবাদিকদের জানান, আমরা ভবঘুরে মহিলাকে চিকিৎসা শেষে (২০জুলাই ) শনিবার থানায় নিয়ে আসি। প্রাথমিকভাবে কোনো অপকর্মের সঙ্গে মহিলার সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি। মানুষ আতঙ্কেই ‘ছেলেধরা’ ভেবে তাকে মেরেছে। পরে (২০জুলাই ) শনিবার বিকালে নেত্রকোণার জেলা বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশে গাজীপুরের টঙ্গীর পুবাইল এলাকার ভবঘুরে কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে ওই মহিলাকে।