নেত্রকোনার কলমাকান্দায় পানি নেমে গেলেও ভোগান্তি কমেনি বন্যা কবলিত মানুষের। বন্যার পানিতে উপজেলার নিম্নাঞ্চলের বেশিরভাগ সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। খানাখন্দে ভরা এসব সড়কে চলাচল করতে গিয়ে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
উপজেলার খাসপাড়া গ্রামের মো. শামসুল হক বলেন, কলমাকান্দা-বরুয়াকোনা সীমান্তবর্তী সড়কের সাড়ে ৭ কিলোমিটার অংশে অসংখ্য ছোটবড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। তিনদিন আগে পানি নেমে গেলেও গর্তগুলো ভরাট না করায় চলাফেরা করতে কষ্ট হচ্ছে।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান শেখ গোলাম মৌলা তিনি প্রতিনিধিকে বলেন উপজেলার সাথে জেলা সদর ও আন্ত : ইউনিয়নের সড়কে বিভিন্ন অংশে বড় ছোট গর্ত, খানাখন্দ সৃষ্টি হয়েছে। এতে করে এলাকার জনসাধারণ চরম দুর্ভোগে পড়েছে। আসছে কোরবানি ঈদ। স্থানীয় জনসাধারণ জরুরী ভিত্তিতে কোরবানি ঈদের আগে রাস্তাঘাট মেরামত করার জন্য সরকারের নিকট দাবি জানান ওই ইউপি চেয়ারম্যান।
নেত্রকোনা সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. শাকিরুল ইসলাম তিনি প্রতিনিধিকে বলেন ঠাকুরাকোনা-কলমাকান্দা (সওজ) সড়কের প্রায় ৫ কি: মি: বড়- ছোট ,খানাখন্দ সৃষ্টি হয়েছে। ঈদের আগে এসব সড়ক যান চলাচলের উপযোগী করা হবে।
কলমাকান্দা এলজিইডি’র উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. ইমরান হোসেন তিনি প্রতিনিধিকে বলেন, উপজেলায় ১৩টি সড়ক বন্যার পানিতে তলিয়ে যায়। এখনো সবগুলো সড়কের পানি নামেনি। পানি সম্পূর্ণ না কমা পর্যন্ত ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যাচ্ছে না। জরুরি বরাদ্দ না থাকায় ক্ষতিগ্রস্ত সড়কগুলো সংস্কার করা যাচ্ছে না। তবে আমরা এরইমধ্যে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানিয়েছি। আশা করছি কোরবানি ঈদের আগেই ক্ষতিগ্রস্ত ৩৮ কিলোমিটার সড়ক চলাচলের উপযোগী হবে।
ইতিমধ্যেই নেত্রকোনা -১ আসনের সংসদ সদস্য মানু মজুমদার বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করে এলাকাবাসীকে আশ্বস্ত করেন তিনি বলেন অতি দ্রুত সড়কগুলো মেরামত করা হবে।