লক্ষ্মীপুরের হাজিরপাড়া এলাকায় অগ্নিকা-ে বাসাবাড়িসহ ১৯টি দোকান ভস্মীভূত হয়েছে। শনিবার (২০ জুলাই) বিকেলে সদর উপজেলার হাজিরপাড়া বাজারে একটি চা দোকানের গ্যাস সিলিন্ডার থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। মুহূর্তে পাশের দোকানগুলোতেও ছড়িয়ে পড়ে বাসাবাড়িসহ ১৯টি দোকান ভস্মীভূত। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট স্থানীয়দের সহযোগিতায় ২ ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে অগ্নিকা-ে কেউ হতাহত হয়নি বলে জানিয়েছেন পুলিশ। অগ্নিকা-ে কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন ক্ষতিগ্রস্তরা। তবে এ অগ্নিকা-ে হাজিরপাড়া বাজারের প্রতিমা বস্ত্রালয়, জাবেদ স্টোর (মুদি দোকান), নুর ইলেক্ট্রিক, দ্বীপ অটো মেশিনারীজ এ- হার্ডওয়্যার, কিরণ সাহার মিষ্টি দোকান, অভিরামের চা দোকান, প্রদীপ ও মানিকের ২টি সেলুনসহ ৭টি দোকান এবং নুর আলমের কুটিরশিল্প, জাবেদ ও বাবুলের ২টি মুদি মালামালের গুদাম, মাহফুজের ক্রোকারীজ সামগ্রীসহ ৮টি গুদামঘর ছাড়া স্থানীয়দের বসবাসরত ৪টি বাসাবাড়ি আগুনে পুড়ে যায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বিকাল সাড়ে ৫ টার দিকে হাজিরপাড়া বাজারে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় সংলগ্ন অভিরামের চা দোকান থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। এরপর মুহুর্তের মধ্যে আগুন ছড়িয়ে পড়ে আশপাশের দোকান ও বাসাবাড়িতে। খবর পেয়ে লক্ষ্মীপুর ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। এতে স্থানীয়রাও সহযোগিতা করেন। দীর্ঘ ২ ঘণ্টা চেষ্টা চালানোর পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
হাজিরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শামছুল আলম বাবুল জানান,তিনি খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। অগ্নিকা-ের কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে তার নিকট দাবি করেছেন ক্ষতিগ্রস্তরা। ক্ষতিগ্রস্তদের সহযোগিতার জন্য তিনি উপজেলা প্রশাসনকে অবহিত করেছেন।
লক্ষ্মীপুর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সহকারী পরিচালক মো. ইকবাল হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, অগ্নিকা-ের খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় বাসাবাড়িসহ ১৯টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পুড়ে গেছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে গ্যাস সিলিন্ডার থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। পরে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুন ছড়িয়ে যায়।