“সিংড়ায় বাঁধ ও সুতি দিয়ে মাছ শিকার, হুমকিতে চলনবিলের জীববৈচিত্র্য” শিরোনামে যুগান্তরে সংবাদ প্রকাশের পর সেই রবীন্দ্রনাথ স্মৃতি বিজড়িত নাগরনদের তিনটি বাঁশের বাঁধ ও সুঁতি জাল উচ্ছেদ করল সিংড়া উপজেলা প্রশাসন। অভিযানে লক্ষাধিক টাকা মূল্যের ২টি বাঁদাইজাল আটক করে পুড়িয়ে দেয়া হয়। সিংড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিষ্ট্রেট সুশান্ত কুমার মাহাতো এর নেতৃত্বে ভ্রাম্যমান আদালত রোববার দিনভর এই অভিযান পরিচালনা করে। পরে রাত ৮টায় সিংড়া দহ পাড়ে জালগুলো পুড়িয়ে দেয়া হয়।
সিংড়া উপজেলা প্রশাসন ও মৎস্য অফিস সূত্রে জানা যায়, মৎস্য ভান্ডার খ্যাত চলনবিলের মা মাছ নিধন রোধে নাগরনদীতে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে নাগরনদীর বাশারনগর, ধরমপুর ও সারদানগর এলাকা থেকে ৩টি বিশাল বাঁশের বাঁধ উচ্ছেদ করা হয়। পরে তাজপুর এলাকা থেকে লক্ষাধিক টাকা মূল্যের ২টি বাঁদাই জাল আটক করে পুড়িয়ে দেয়া হয়। অভিযানে উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম, সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত জহুরুল হক, সহকারী প্রোগ্রামার শফিকুল ইসলাম সহ সিংড়া থানা পুলিশ ও ২০ শ্রমিক অংশ নেন। এদিকে প্রশাসনের এই অভিযানকে অভিনন্দন জানিছেন স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন চলনবিল জীববৈচিত্র্য রক্ষা কমিটি।
উল্লেখ্য গত ১৯ জুলাই দৈনিক যুগান্তরের ১৬ পৃষ্টায় “সিংড়ায় বাঁধ ও সুতি দিয়ে মাছ শিকার, হুমকিতে চলনবিলের জীববৈচিত্র্য” শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ হয়। এর পরই সিংড়া উপজেলা প্রশাসনসহ এলাকায় তোলপাড় শুরু হয়।
সিংড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুশান্ত কুমার এই প্রতিবেদককে বলেন, মৎস্য ভান্ডার খ্যাত চলনবিলের মা মাছ রক্ষায় প্রশাসনের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।