জামালপুরে বন্যার পানি ধীরগতিতে কমতে শুরু করায় সার্বিক বন্যার পরিস্থিতি কিছিুটা উন্নিতি হয়েছে। ২২জুলাই সোমবার যমুনার বাহাদুরাবাদ ঘাট পয়েন্ট পানি বিপদসীমার ৩৯ সেন্টিমিটার কমে যমুনায় পানি বিপদ সীমার ৬১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। গত ১০ দিন ব্যাপি পানি বন্দি লাখ লাখ মানুষের দুর্ভোগ এখন চরমে পৌছেছে।
গত ২২জুলাই পানিতে ডুবে ২ শিশুর মৃত্যু খবর পাওয়া গেছে। মুখ শিমলা গ্রামের আবদুস সাত্তারের মেয়ে শারমিন আক্তার(১২) এবং সাপধরী ইউনিয়নের আকন্দপাড়া গ্রামের বাসিন্দা মোফাজ্জল আকন্দের ৩বছরের শিশু কন্যা ময়ছন বেগম বন্যার পানিতে ডুবে মৃত্যু হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সাবধরী ইউপির চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন বিএসসি।
জেলা স্বরণকালের ভয়াবহ বন্যায় ৬২টি ইউনিয়ন ও ৭টি পৌরসভার প্রায় ৯লক্ষাধিক মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। বন্যা কবলিত এলাকা মানুষের মাঝে এখন ত্রাণের জন্য চলছে হাহাকার।শুকনো খাবার,বিশুদ্ধ পানি ও গো খাদ্যের চরম সংকট দেখা দিয়েছে। বাসভাসি মানুষ নৌকা দেখলেই হাত বাড়িয়ে ডাকতে থাকে,আমরা পানি বন্দি ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার, আমাদের ত্রান সহায়তা করুন। কারণ যমুনা পশ্চিমঞ্চলের বন্যার্তদের বাড়ী ঘরে এখনো ৩ থেকে ৬ ফুট পর্যন্ত পানি নীচে। সেখানে রান্না করা খাবারের সংকট ও গবাদি পশু খাদ্যে সংকট।
বিশেষ করে দিন মজুর,নিম্ন আয়ের মানুষগুলো কাজকর্ম না থাকায় তারা অলস বসে দিন কাটাচ্ছেন। তাই তারা বাধ্য হয়ে তীব্র খাদ্য সংকটে ভূগছেন।