গাইবান্ধায় ঘাঘট ও ব্রক্ষপুত্রের পানি কমতে শুরু করায় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হতে শুরু করেছে। এখনো ব্রক্ষপুত্রের পানি বিপদসীমার ৫৭ সেন্টিমিটার ও ঘাঘট নদীর পানি ২৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বাড়িঘড় পানিতে ডুবে থাকায় এখনো ঘড়ে ফিড়তে পারেনি কয়েক লাখ মানুষ।
আশ্রয় কেন্দ্র, নদীর বাধে ও রাস্তার ধারে খোলা আকাশের নিচে খেয়ে না খেয়ে গত দেড় সপ্তাহ থেকে মানবেতর জীবন যাপন করছে এসব বানভাসী মানুষ। বন্যার পানি কমার সাথে সাথে দেখা দিয়েছে বিভিন্ন ধরনের পানি বাহিত রোগ। পানি কমার ফলে বাড়ী ঘর, রাস্তা ঘাটে কাদা জমে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। কাঁচা- পাকা রাস্তায় অসংখ্য গর্তের সৃস্ঠি হওয়ায় নান দূঘটনায় পড়তে হচ্ছ্ েসাধারন মানুষকে। দূর্গত এলাকাগুলোতে দেওয়া হচ্ছে না পর্যাপ্ত ত্রান। দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানি ও খাদ্য সংকট।
কৃষি বিভাগ সুত্রে জানা গেছে বন্যার জেলার বিভিন্ন এলাকায় ১২ হাজার ৮০৩ হেক্টর জমির ফসল নিমজ্জিত রয়েছে। এসব ফসলের মধ্যে রয়েছে আউশ, আমন বীজতলা, রোপিত আমন, পাট ও শাক সব্জি।
জেলা প্রশাসক আবদুল মতিন স্থানীয় সাংবাদিকদের সাথে এক মত বিনিময় সভায় জানান, বন্যা কবলিত এলাকায় সরকারী ত্রান হিসেবে সাড়ে ৯শ মে.টন চাল, ১৫ লাখ টাকা এবং ৫ হাজার ৬শ শুকনো খাবার প্যাকেট বিতরন করা হয়েছে। এ ছাড়াও বন্যা পরবর্তী কৃষি পূর্নবাসন এবং ক্ষতি গ্রস্তদের ঘরবাড়ি নিমার্ণে সহায়তা দেয়া হবে।